‘পুনরুদ্ধারে গভীর অনিশ্চয়তা দেখছে বৈশ্বিক অর্থনীতি আইএমএফ’
- আপডেট সময় : ১২:২৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ ১৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক:
বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের বিষয়ে ‘গভীর অনিশ্চয়তা’ দেখছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলেন, আইএমএফ আগে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, সে তুলনায় বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আরও খারাপ সংকোচন হবে। গত মঙ্গলবার নতুন এক ব্লগ পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। খবর: রয়টার্স।
গীতা গোপীনাথ বলেন, করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট অতীতের সংকটের তুলনায় আরও সর্বব্যাপী এবং আলাদা। উন্নত ও উদীয়মান উভয় বাজার অর্থনীতিতেই উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে সেবা খাত কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতিও কমেছে। তিনি বাস্তব অর্থনীতি আর আর্থিক বাজারের মধ্যে এক বিস্ময়কর বিভ্রান্তির কথাও উল্লেখ করেছেন, যা আর্থিক বাজারে তীব্র অস্থিরতা তৈরি করেছে।
গোপীনাথ বলেন, ‘অনেক দেশে প্রাথমিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ রয়েছে, যারা তাদের অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করেছিল। তবে সংক্রমণের নতুন ঢেউ এবং পুনরায় লকডাউন পদক্ষেপ আরও ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
তিনি বলছেন, জনগণের চাহিদা বাড়লে সেবা খাত হয়তো তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে এর নিশ্চয়তা নেই। কারণ মানুষের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া কমে যাওয়ায় ব্যয়ের আচরণ পরিবর্তন হতে পারে। অনিশ্চয়তার কারণে সঞ্চয়ের হার বাড়ছে অনেক বেশি। যেমন চীন সবার আগে লকডাউন তুলে নিতে পারলেও সেবা খাত, যেমন: পর্যটন, ভ্রমণ এসব খাত এখনও উঠে দাঁড়াতে লড়াই করছে।
আগামী ২৪ জুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক আউটলুক হালনাগাদ করবে আইএমএম। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা গত মাসে জানান, আইএমএফ আগে বৈশ্বিক অর্থনীতি তিন শতাংশ সংকুচিত হবে বলে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তা আরও বাড়াতে পারে। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেননি জর্জিয়েভা।
আইএমএফের হিসাবে, মহামারি পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের ১০ কোটি মানুষ নতুন করে চরম দারিদ্র্যের শিকার হবে। এছাড়াও, চাকরি হারানো নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ আর্থ-সামাজিক বৈষম্য নির্মূলে প্রভাবিত দেশগুলোর সরকারকে অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দ দিতে হবে। সংস্থাটির প্রধান একটি সার্বজনীন অর্থনৈতিক উত্তরণের স্বার্থে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। এছাড়াও, তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রস্তুতি জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। নিন্ম আয়ের পরিবার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নত প্রযুক্তি এবং আরও সহজশর্তের আর্থিক পরিষেবার আওতায় আনারও আহ্বান জানান তিনি।