প্রতিবেদক::
শেরপুরে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার গত ১৫ দিনেও চালু হয়নি শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে এপথে যাতায়াতকারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে দুই জেলার মধ্যে ভারী যানবাহন চলাচল।
এতে ব্যবসা বানিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করছে। ক্ষতিসাধিত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্যায় প্লাবিত হওয়ার পূর্বেই শেরপুর-জামালপুর সড়কের নন্দীরবাজার, পোড়ার দোকান ও শিমুলতলী এলাকার কজওয়েতে দুটি ব্রীজ নির্মান কাজ শুরু হয়। এসময় শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে ব্রীজ নির্মানস্থলের পাশ দিয়ে বিকল্প দুটি বেইলী ব্রীজ নির্মান করা হয়। সম্প্রতি বন্যার পানির তোড়ে ব্রীজ দুটি বিধ্বস্ত হয়। এতে দুই জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গত ১৫ দিন পূর্বে বন্যার পানি নেমে গেলেও বিধ্বস্ত বেইলী ব্রীজ দুটি সংস্কার করা হয়নি।
ফলে এ পথে যাতায়াতকারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজ দুটি বিধ্বস্ত হওয়ায় হালকা যানবাহন সিএনজি, অটোরিক্সা, মটরসাইকেল পাঁচ কিলোমিটার দূর দিয়ে ঘুরে যাতায়াত করলেও ভারী যানবাহন গুলো চলাচল করতে পারছেনা এ পথে। ফলে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন বলেন, দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শেরপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মোহাম্মদ শরিফুল আলম বলেন, দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে নির্মান সামগ্রী ঘটনাস্থলে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।