লাড়কির ঘর থেকে পুকুরে পড়ল কুমির, এলাকায় তোলপাড়
- আপডেট সময় : ১২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ ৫১২ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বসত বাড়ির পুকুরে একটি কুমির দেখা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হৈ চৈ, চলছে তোলপাড়।
আরো পড়ুন: গ্রাম আদালত গতিশীল হলে চাপ কমবে উচ্চ আদালতের
বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের আমজাদ মজিদ মিয়ার বাড়ির পুকুরে কুমিরটি দেখা যায়।
আরো পড়ুন: ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মতো আবারও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
পুকুরের মালিক মো. মাসুদুল ইসলাম শরীফ বলেন, গত চার দিন আগে রোববার বিকেলের দিকে আমাদের গ্রামের ফেরি ওয়ালাদের বাড়ির বেলালের লাকডির ঘরে প্রথমে কুমুরটি দেখতে পায় তাদের পরিবারের সদস্যরা। ওই সময় তারা কুমুরটি হত্যা করতে চেষ্টা করে। সেখান থেকে কুমুরটি তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমার স্ত্রী নাহিদা আক্তার পান্না আমাদের ঘরের পেছনের পুকুরে কুমুরটি ভাসতে দেখে। তাৎক্ষণিক এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়।
আরো পড়ুন: দুই উপজেলায় ১১ মাদকসেবীর কারাদণ্ড
শরীফ ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহেদ উদ্দিন আরও বলেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমুরটি পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। কিন্ত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পুকুরের চারদিকে হেঁটে কুমুরটি পুকুরে দেখা যায়নি। রাতে কুমুরটি পাহারা দেওয়া হয়নি। এখন পুকুরে কুমির আছে, না চলে গেছে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত নয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উৎসুক জনতা এখানে ভিড় জমাচ্ছে। তবে প্রশাসনের কোন লোক এখানে নেই। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে স্থানীয়দের ধারণা এটি মিঠা পানির কুমির হতে পারে।
আরো পড়ুন: টিনের বেড়ায় থাকা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
হাতিয়া বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পুকুরে কুমির সাদৃশ্য বস্তু দেখা গেছে, আলো সল্পতার কারণে আমরা বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাটি জানানো হয়েছে। সকালে বিষয়টি পুনরায় যাচাই করে দেখব।
আরো পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ যুবদল সভাপতি গ্রেফতার
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কেউ বলছেন কুমির আবার কেউ বলছেন কুমির সাদৃশ্য। ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।









