ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৪৭০১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে তার ওপরে বন্দুক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তবে লিবীয় প্রধানমন্ত্রী অক্ষত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
লিবীয় প্রধানমন্ত্রীর ওই সূত্রটি বার্তাসংস্থাটিকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজের বাসভবনে ফেরার সময় প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহের গাড়িবহরে বন্দুক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এটিকে স্পষ্টতই পরিকল্পিত একটি হত্যাচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে সূত্রটি। বন্দুক হামলার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

রয়টার্স অবশ্য বলছে, তারা এই হামলার ঘটনার কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ পায়নি এমনকি হামলার পরবর্তী অবস্থারও কোনো ছবি বা ফুটেজ তাদের হাতে আসেনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহকে হত্যাচেষ্টার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো ব্যক্তির সাথেও তারা কথা বলতে পারেনি।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্বৃত্তদের হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন লিবিয়ার প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাগা। যদিও সেসময় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের একনায়ক শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।
এছাড়া দেশটিতে প্রচুর মিলিশিয়া বাহিনী রয়েছে এবং তাদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। দেশটির জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর পাশাপাশি এসব মিলিশিয়া গোষ্ঠীরও ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

এছাড়া গত বছর ২৪ ডিসেম্বর লিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানামুখী জটিলতার কারণে শেষমুহূর্তে সেই নির্বাচন বাতিল করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, জটিল রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণেই দুর্বৃত্তদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন লিবীয় প্রধানমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহ

আপডেট সময় : ১২:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে তার ওপরে বন্দুক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তবে লিবীয় প্রধানমন্ত্রী অক্ষত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
লিবীয় প্রধানমন্ত্রীর ওই সূত্রটি বার্তাসংস্থাটিকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজের বাসভবনে ফেরার সময় প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহের গাড়িবহরে বন্দুক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এটিকে স্পষ্টতই পরিকল্পিত একটি হত্যাচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে সূত্রটি। বন্দুক হামলার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

রয়টার্স অবশ্য বলছে, তারা এই হামলার ঘটনার কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ পায়নি এমনকি হামলার পরবর্তী অবস্থারও কোনো ছবি বা ফুটেজ তাদের হাতে আসেনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দিবেইবাহকে হত্যাচেষ্টার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো ব্যক্তির সাথেও তারা কথা বলতে পারেনি।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্বৃত্তদের হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন লিবিয়ার প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাগা। যদিও সেসময় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের একনায়ক শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।
এছাড়া দেশটিতে প্রচুর মিলিশিয়া বাহিনী রয়েছে এবং তাদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। দেশটির জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর পাশাপাশি এসব মিলিশিয়া গোষ্ঠীরও ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

এছাড়া গত বছর ২৪ ডিসেম্বর লিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানামুখী জটিলতার কারণে শেষমুহূর্তে সেই নির্বাচন বাতিল করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, জটিল রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণেই দুর্বৃত্তদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন লিবীয় প্রধানমন্ত্রী।