নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবু তাহেরের সাথে জায়গা জমির সীমানা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উল্যাহ (৫০) এর। কিছুদিন পূর্বে এ বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনায় মামলা দায়ের করে আসামী ধরতে পুলিশকে তাড়া দেন আবু তাহের। পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার এড়াতে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে নোয়াখালীর চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী মোহম্মদ উল্যার।
সোমবার বিকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। নিহত মোহম্মদ উল্যাহ বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চৌমুহনী পোস্ট অফিস সড়কের আলিফ প্রেসের মালিক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উল্যাহর সাথে তার প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবু তাহেরের জায়গা জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১০জুন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৮জুন আবু তাহের বাদী হয়ে মোহাম্মদ উল্যাকে প্রধান আসামী করে ৬জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত মোহাম্মদ উল্যাহর ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, তাদের প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবু তাহেরের দায়ের করা মামলায় তার বাবাকে গ্রেফতার করতে রবিবার রাত ১২টার দিকে তাদের বাড়ীতে হানা দেয় বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ আসছে বুঝতে পেরে তার বাবা বাড়ির ছাদে উঠে ছাদের পাশের একটি গাছ বেয়ে নিচে নেমে পুকুরে লাফিয়ে পড়ে। এসময় অন্ধকারে পুলিশ ও মামলারবাদীর লোকজন পুকুরের চারপাশ ঘেরাও করে রাখলে তিনি আর উঠতে পারেন নি। কিছুক্ষণ পর পুলিশ উনাকে উদ্ধার করে পানি থেকে তুললে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, রাতে মামলার আসামী মোহাম্মদ উল্যাকে ধরতে তার বাড়ীতে অভিযান করে পুলিশ। পুলিশ দেখে তিনি বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়েন। কৌশলে তাকে পানি থেকে তুলে আনার পর তিনি অসুস্থ্য বোধ করলে পরিবারের জিম্মায় রেখে পুলিশ চলে আসে। রাত ১টার দিকে তাকে চৌমুহনীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৩টার সময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।