নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে জেলা পরিষদের সদস্যপদে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত ২০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে জেলা শহরের হরিনারায়ণপুর বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৫ জনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন মো. মাইন উদ্দিন সাজু (৩৮), মো. তাজুল হক (৩০), মো. স্বপন (৫০), মো. মিজান (৩৪) ও মো. কামাল হোসেন (৩৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচনে কামাল উদ্দিন অপর প্রার্থী আরমান চৌধুরীর কাছে ৩ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। ভোট গণনা শেষে সদস্য প্রার্থী কামাল উদ্দিন পরাজয়ের খবর শুনে নিজেই প্রথমে বিজয়ী প্রার্থী আরমান চৌধুরীর কর্মী-সর্থকদের মারধর শুরু করে। অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ২০জন আহত হয়। আহত ১২ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতলে নেয়া হলে ৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এবং ৫ জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্ত দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিজয়ী প্রার্থী আরমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানানো হয়েছে। উনারা কি সিদ্ধান্ত নিবেন আমি সেই দিকে তাকিয়ে আছি।
পরাজিত প্রার্থী কামাল উদ্দিনের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ইনটার্ণ ডাক্তার ইফাজুল হক সিয়াম বলেন, শারিরীক এসোল্ট নিয়ে ৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। কাউকে সেলাই দিতে হয়েছে আবার কাউকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষকে আলাদা করেছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নোয়াখালীতে জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছ। সকাল ৯ টা থেকে জেলার নয়টি উপজেলার নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।