নিজেস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ২নং সুন্দলপুর ইউনিয়নের পৌত্তিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরধরে বসত ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় নারীসহ আহত হয়েছেন ৩জন।
শনি ও রবিবার উপজেলার পূর্ব রাজুর গাঁও গ্রামের রনার বাড়িতে দপায় দপায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মামলার ১নং আসামী আবু জাহের লিটনকে আটক করে পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথেও বাকবিত-ায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠে লিটনের বিরুদ্ধে।
মামলার এজহার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, আসামীদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে পূর্ব হইতে মত বিরোধসহ মামলা মোকদ্দমা চালিয়ে আসতেছে ভূক্তভোগীরা। এ ঘটনার পূর্ব থেকে তাদের পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন রকম হুমকি ধমকি দিয়েছে অভিযুক্তরা। বর্ণিত ঘটনার সময় আসামীরা হাতে দা, ছেনী, লোহার রড ও লাঠিশোঠা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অজ্ঞাতনামা লোকজনসহ তাদের বিরোধীয় ভূমি দখল করার নিমিত্তে মাটি কাটি ঘর উত্তোলনের চেষ্টা করিলে বাধা দিলে আসামী লিটনের নির্দেশে সকল আসামীরা একত্রিত হয়ে ভিকটিম নুর নাহারের উপর আক্রমণ করে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট আরম্ভ করে।
এসময় তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে গেলে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে অনাধিকার ভাবে তাদের বসত ঘরে প্রবেশ করে পুনরায় হামলা চালায় তারা। এসময় বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাত চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘরে থাকা নারী পুরুষের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নারীসহ প্রায় ৭/৮জনকে আহত করে। এর মধ্যে গুরত্বর আহত অবস্থায় দুই নারী ও এক পুরুষকে উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় লোকজন। গুরত্বর আহরা বর্তমানে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নোয়াখালীর আবাশিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহি উদ্দিন আজিম জানান, গুরত্ব আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাদের মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় সিলাই করা হয়েছে। এছাড়াও তিন জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ও পুলা রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। কবিরহাট থানার মামলা নং ০১/তাং ০৩.১২.২০২। মামলার আলোকে অভিযুক্ত ১জনকে গ্রেপতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।