নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং প্রকৃত ভূমিহীনদের জায়গা বন্দবস্ত দেয়ার দাবীতে ভূমিহীন সমাবেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবার ও অসহায় ভূমিহীন।
সোমবার (১০ জুলাই) বেলা ১২ টায় সুবর্ণচর উপজেলা চর জুবলী ইউনিয়নের চর মহি উদ্দিন গ্রামের কেরানী বাজারে ভূমিহীন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চরজুবলী ৯ নং ওয়ার্ডের সমাজ সেবক ডাক্তার জামশেদের পরিচালনায় ও ভূমিহীন নেতা আবু কালাম সফি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্পিকার, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আব্দুল মালেক উকিল এর সুযোগ্য সন্তান সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুবর্ণচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান দিপক, উপজেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম জিকু, ভূমিহীন নেত্রী সাবেক ইউপি সদস্য আমেনা বেগম, ভূমিহীন নেতা মোঃ হাসান প্রমূখ।
বিভিন্ন সময় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। মানববন্ধনে প্রায় ১ হাজার ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা অংশ নেয়।
ভূমিহীন সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভূমি দস্যুরা অবৈধভাবে সুবর্ণচর উপজেলা ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ও তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নামে বেনামে ভূমিহীনদের বাড়ী ঘর, মসজিদের জায়গা, ডোবা, নালা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জায়গা, ভূমিহীনদের দীর্ঘদিনের দখলীয় জায়গা অবৈধ বন্দোবস্ত দেয়। কিন্তু প্রকৃত ভূমিহীনরা কোন বন্দোবস্ত পায়নি।
ভূমিহীন ক্ষতিগ্রস্থরা বলেন, ১৯৯৮/১৯৯৯ সালে আমরা ভূমিহীনরা সরকারি জায়গায় বসবাস শুরু করি, পরবর্তীতে ২০০৫/২০০৬ সালে সিডিএসপি মাঠ জরিপে দখল প্রমাণিত হওয়ায় ভুমিহীন কয়েক শত পরিবারকে ভুমিহীন টোকেন স্লিপ প্রদান করে কিন্তু ভুমিহীনদের নামে খতিয়ান হওয়ার পূবেই অভিযুক্তরা উপজেলা ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচের মাধ্যমে ভূমিদস্যুরা তাদের নামে খতিয়ান করে নেয়। এতে করে আমরা ভূমিহীনরা মাথা গোঁজার শেষ ঠাঁই টুকু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ি।
তখন থেকেই আমরা বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করি এবং এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সংবাদ সম্মেলন, প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছি কোন প্রতিকার পাইনি।
সম্প্রতি তারা অনুপস্থিত বন্ধবস্ত নিয়ে ভূমিদস্যুরা ভূয়া নথি সৃজন করে উচ্ছেদ এবং ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। এতে আমরা উচ্ছেদ আতংকে ভূগছি। ভূমিসদ্যুরা এ পর্যন্ত বহু পরিবারের ১০০ একর ভূমি রেকর্ড করে নিয়ে যান।
ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা ও উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য ভূক্তিভোগীরা প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদসদস্য ,নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভুমি কর্মকর্তা এবং চরজব্বার থানাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। প্রধান অতিথি এসব সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেন।