নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিনী সাবেক সংসদ সদস্য হাসনা জসীম উদদীন মওদুদ বলেছেন, আজকে সারা দেশের মানুষ বিশ্বের মানুষ জেনেছে বেগম জিয়া হলেন বাংলাদেশের নেলসন ম্যান্ডেলা। তারা একটা সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করে দিছে। বেগম জিয়ার প্রাণে যে শক্তি আপনারা জানেন, খালেদা আজকে আমাদের কাছে আসতে পারলে তার এক ডাকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো। নির্বাচন মুখি দল বিএনপি আরো বেশি করে নির্বাচনের দিকে তাকাতো।
গতকাল শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১ দফা দাবিতে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশে যে গণমুক্তির আন্দোলন হচ্ছে। সে আন্দোলনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের নেতা তারেক জিয়া ঠিকই বুঝেছেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করলে হবেনা। আমাদের নির্বাচন করতে হবে এই সরকার বাদ দিয়ে যে কোন উপায়ে। যারা নিরপেক্ষ ভাবে আমাদের ভোট দিতে।
হাসনা মওদুদ বলেন, বাংলাদেশে এখন সর্ব বৃহৎ সর্বশক্তিমান দল হলো বিএনপি। এর পেছনে রয়েছে জিয়াউর রহমানের অবদান, মওদুদ আহমেদের অবদান, খালেদা জিয়ার অবদান, তারেক রহমানের অবদানও অনেক। আজকে বিএনপি যে টিকে আছে তারেক রহমানের কারণে টিকে আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত দেখতে চাই। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নূন্যতম চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। ধরে নেওয়া যায় তাকে মেরেই ফেলা হয়েছে। এটাই সবাই বলতেছে। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) চলে গেলে আমরা এতিম হয়ে যাব। ম্যাডামের দেশকে দেওয়ার মত এখনো যে শক্তি আছে, সেটা আর কারো নেই। তিনি মুক্ত হলে তার অসুখ অনেকটা সেরে যাবে। তার যে অসুখ সেটা ধীরে ধীরে অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এখনতো তিনি আল্লাহতালার রহমতে বেঁচে আছেন। কিন্তু একটা কিছু যদি হয়ে যায়। সেই অপেক্ষায় কি সরকার আছে। সরকার দেখতে চায় বিএনপি কি করতে পারে।
প্রয়াত স্বামী মওদুদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,আমি এ নোয়াখালীতে দেখেছি মহিলারা লাইনের পর লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, ভিতরে সিল মারতে ছিল। আপনাদের নেতা ব্যারিস্টার মওদুদকে ও ভোট দিতে যেতে দেয়নি, ঈদের নামাজও পড়তে দেয়নি। মওদুদ সাহেবের উপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। এটা একটা বেহায়া সরকার। মওদুদ সাহেব মারা গেলেন, নিজের বাড়িটা নিয়ে নিলেন। জঘন্য মিথ্যা ভাবে তার সাজানো বাড়ি নিয়ে গেল। মওদুদ সাহেবের চিকিৎসা সম্পর্কেও আমার কিছু প্রশ্ন আছে। তিনি গেলেন ভালো মানুষ, ফিরে আসলেন লাশ হয়ে।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামী সেপ্টেম্বরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আগেই বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং সুচিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশ যাবেন। তারা ঊনাকে শাস্তি যাই দেক, তার চিকিৎসাটা হোক। এজন্য আমরা সঙ্কিত আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর, না ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হয়। সেটা হওয়ার আগেই যেন তাকে মুক্ত করে দেয়। তাহলেতো সরকারের দায় থাকবেনা। তাকে মুক্ত করে দেন,তাকে তার প্রচন্দের জায়গায় চিকিৎসা নিতে দেন। আমরা যথেষ্ট সহ্য করেছি, আমরা এক দফায় থেকেছি। এক দফায় আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
এ সময় বিএনপি নেতা মাস্টার ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আতোয়ার হোসেন পাবেল, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রমুখ।