নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল নোয়াখালীতে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে। পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপি সন্দেহে ৮৪জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে বন্ধ ছিল দূরপাল্লার বাস চলাচল।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার সোনাপুর বাস স্টেশন থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস স্টেশন ছেড়ে যায়নি। জেলার ৯টি উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। স্কুল, কলেজ ও অফিসমুখী লোকজনও ছিলেন রাস্তায়। হরতালে কোনো প্রভাব পড়েনি জেলায়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে জেলা শহরের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে থাকে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলে রয়েছে। এখানো পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে জেলার কোথাও মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে সমর্থণে মাঠে ছিলনা বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে সেনবাগ উপজেলার সেবারহাট বাজার এলাকায় একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। রোববার সকালের দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় হরতালের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মিরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সকাল ৮টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার একটি সড়কে গাছের গুডি পেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে হরতাল সমর্থকরা। দুপুর ১টা ১০মিনিটের দিকে জেলা শহর মাইজদীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে ১৫-২০জন বিএনপির নেতাকর্মি হরতালের সমর্থনে ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করে। একপর্যায়ে তারা সেখানে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। জেলা বিএনপি অভিযোগ করেছেন, তাদের ২৫জন নেতাকর্মিকে পুলিশ আটক করেছে।
অপরদিকে, হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু প্রমূখ।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মাঠে রয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা থেকে ৭ জন, হাতিয়া থেকে ১ জন কোম্পানীগঞ্জ থেকে ৬জন , বেগমগঞ্জ থেকে ১৭জন , সেনবাগ থেকে ১৪জন , চাটখিল থেকে ৪জন ,সোনাইমুড়ী থেকে ২১ জন , সুবর্ণচর থেকে ৬ জন , ও জেলা গোয়ান্দো পুলিশ (ডিবি) ৮জন সহ মোট ৮৪জনকে গ্রেফতার করেছে।