ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ট্রাক শ্রমিকের মৃত্যু: নোয়াখালীর সাবেক এমপি একরাম’সহ ৫৩ আ.লীগ নেতাকর্মির বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন (১৭) হত্যার অভিযোগে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী’সহ আওয়ামী লীগের ৫৩ নেতাকির্মর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

 

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহত শ্রমিকের পিতা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় এই হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত খোকন পেশায় একজন ট্রাক শ্রমিক ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের কর্মি সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার জন্য সদর উপজেলার দত্তেরহাট দত্ত বাড়ির মোড়ে জমায়েত হন। খোকন তখন নিজের বাড়ি থেকে দত্তেরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। একপর্যায়ে খোকন সোনাপুর-মাইজদীর প্রধান সড়কে গেলে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, আওয়ামী লীগ নেতা সিএনজি কামাল, পৌর কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন সুনাম, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সহ অন্যান্য আসামিরা বিএনপি জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মিছিল দত্তেরহাট পোলের কাছাকাছি পৌঁছলে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। তখন ১ থেকে ২০নং আসামিরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকলে আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়।

 

মামলায় আরও বলা হয়েছে, খবর পেয়ে নিহত শ্রমিকের পিতা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তাকে মারধর করে তার ছেলেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর তাকে মৃত ভেবে লাশ গুম করার জন্য ময়লা যুক্ত খালে লাশ পেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর সুধারাম থানায় মামলা করতে গেলে আসামিদের রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ নিহতের পিতার মামলা না নিয়ে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করে। মামলার বাদী অভিযোগ করেন, যার কারণে তিনি তার ছেলে হত্যার বিচার পাননি।

 

যোগাযোগ করা হলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মামলার এজহার হাতে পেয়েছি। তবে বর্তমানে সার্ভার চালু নেই। সার্ভার চালু হলেই মামলা রেকর্ড করা হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

ট্রাক শ্রমিকের মৃত্যু: নোয়াখালীর সাবেক এমপি একরাম’সহ ৫৩ আ.লীগ নেতাকর্মির বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন (১৭) হত্যার অভিযোগে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী’সহ আওয়ামী লীগের ৫৩ নেতাকির্মর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

 

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহত শ্রমিকের পিতা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় এই হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত খোকন পেশায় একজন ট্রাক শ্রমিক ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের কর্মি সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার জন্য সদর উপজেলার দত্তেরহাট দত্ত বাড়ির মোড়ে জমায়েত হন। খোকন তখন নিজের বাড়ি থেকে দত্তেরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। একপর্যায়ে খোকন সোনাপুর-মাইজদীর প্রধান সড়কে গেলে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, আওয়ামী লীগ নেতা সিএনজি কামাল, পৌর কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন সুনাম, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সহ অন্যান্য আসামিরা বিএনপি জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মিছিল দত্তেরহাট পোলের কাছাকাছি পৌঁছলে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। তখন ১ থেকে ২০নং আসামিরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকলে আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়।

 

মামলায় আরও বলা হয়েছে, খবর পেয়ে নিহত শ্রমিকের পিতা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তাকে মারধর করে তার ছেলেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর তাকে মৃত ভেবে লাশ গুম করার জন্য ময়লা যুক্ত খালে লাশ পেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর সুধারাম থানায় মামলা করতে গেলে আসামিদের রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ নিহতের পিতার মামলা না নিয়ে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করে। মামলার বাদী অভিযোগ করেন, যার কারণে তিনি তার ছেলে হত্যার বিচার পাননি।

 

যোগাযোগ করা হলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মামলার এজহার হাতে পেয়েছি। তবে বর্তমানে সার্ভার চালু নেই। সার্ভার চালু হলেই মামলা রেকর্ড করা হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।