শিরোনাম:
সুবর্ণচর গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফোরামের ঈদ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছাত্রলীগের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, তরুণ গ্রেপ্তার তরুণ নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত-৩ সৌদির সঙ্গে মিল রেখেই ঈদ উদযাপন করলেন নোয়াখালীর ৪ গ্রামের মানুষ ঘুরতে গিয়ে লাশ হলো শিহাব, মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তরুণের মৃত্যু স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ শোনার এক ঘন্টা পর স্বামীর মৃত্যু প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ, শ্রীঘরে ইউপি মেম্বারসহ – ৩ বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, ডোবায় মিলল মরদেহ নোয়াখালীর সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেলো ঈদের নতুন জামা

রসুন আদা পেঁয়াজের দাম কমলেও ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৮ জুন, ২০২০

প্রতিবেদক::

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে লকডাউনের শুরু থেকে নিত্যপণ্যেও দাম বাড়তে শুরু করে। তবে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি বাতিল করার পর থেকে আবার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চালের দম কমেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজে দাম কমেছে প্রায় ১০ টাকা, রসুনের ২৫-৩০ ও আদায় কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা। অপরদিকে ভরা মৌসুম হলেও চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের একাধিক আড়তদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আগে পাইকারি বাজারে ৩০-৩২ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রয় হলেও বর্তমানে ১৮-১৯ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। আড়তদাররা জানান, ভারত থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এতে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে। একই সঙ্গে চায়না রসুনের দাম কমেছে ৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ১০০ টাকা পাইকারি বাজারে দাম থাকলেও বর্তমানে বিক্রিয় হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। পাইকাররা জানান, রসুনের আমদানি বেড়েছে। একই সঙ্গে আমদানি মূল্যও কমেছে। আর অনেক নটকীয়তার পর আদার দামও কমেছে। লকডাউনের শুরুতে ভোগ্যপণ্যটি ২৮০ টাকা পর্যন্ত সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ায় আমদানিকারকরা। তবে ঈদের আগে ১৫০ টাকা পাইকারি বাজারে বিক্রয় হলেও বর্তমানে বিক্রয় হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা করে।

এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে আড়তদার উত্তম কুমার শাহ শেয়ার বিজকে বলেন, ‘বর্তমানে ভারত থেকে পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরেও খালাসের অপেক্ষায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্য বাজারে আসলে পণ্যে দাম আরেক দফা কমতে পারে।’

এদিকে ধানের নতুন মৌসুম এলেও পাইকারি বাজারে উল্টো চালের দাম বেড়েছে। চট্টগ্রামের বৃহৎ চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টিতে ও পাহাড়তলী পাইকারি বাজারের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিরাশাইল (সিদ্ধ), মিনিকেট (সিদ্ধ), বাসমতি (সিদ্ধ), স্বর্ণা (সিদ্ধ), বেতি, পাইজাম (আতপ), মিনিকেট (আতপ), কাটারীভোগ আতপ ও মোটা সিদ্ধ বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন শেয়ার বিজকে বলেন, ‘নতুন ধান উঠার কারণে মোকামগুলোতে ধান চালের সরবরাহ বেড়েছে। তবে সরকার ধান কেনার মিল কোটা রাখার কারণে দাম বৃদ্ধির পেয়েছে। কারণ এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিচ্ছে। সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনে তবে কৃষক উপকৃত হবে।’

তিনি বলেন, গত চার পাঁচ দিনে বেশকিছু চালের বস্তায় ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। মিনিকেট বর্তমানে দুই হাজার ২৫০ টাকা বিক্রয় হলেও চার দিন আগে পাহাড়তলী বাজারে এক হাজার ৯০০ টাকায় বস্তা বিক্রয় হয়েছিল। আর বেতি চাল বর্তমানে এক হাজার ৯৫০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে, যা চার দিন আগে একা হাজার ৮০০ টাকা ছিল। পাইজাম ২০০ টাকা বেড়ে দুই হাজার ২০০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে।

চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি শান্ত দাস গুপ্ত শেয়ার বিজকে বলেন, চালেন দাম বাড়েনি। লকডাউন খুলে দেওয়ার ও নতুন ধান উঠার কারণে উল্টো চালের দাম বস্তায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে। তিনি বলেন, সরকার চট্টগ্রাম জেলায় চাল কিনার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার টন। এর মধ্যে মাত্র ১০০ টনের মতো চাল মিল মালিকরা সরকারি গুদামে সরবরাহ করতে পেরেছে। এখনও পুরো চাল সংগ্রহ বাকি রয়েছে। সরকার মিল মালিকদের কাছ থেকে ৩৫ টাকা করে আতপ, ৩৬ টাকা করে সিদ্ধ ও ২৬ টাকা করে ধান সংগ্রহ করছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০