নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে এলাকা ভিত্তিক কঠোর লকডাউনের উদ্দ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আক্রান্তের মাত্রা বিবেচনা করে জেলার বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলায় শনাক্তের হার মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় করোনা হটর্স্পোট চিহ্নিত করে রেড জোন ঘোষনা করে জেলা ও স্বাস্থ্য প্রশাসন।
রবিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভা কক্ষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় দাস এর সভাপত্তিত্বে কনোরা প্রতিরোধে করনীয় এবং জেলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলা কে ৯ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা দেন।
তিনি জানান, জেলার বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলা আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের আওতায় থাকবে। এতে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও সদর উপজেলার কোন ব্যক্তি ঘরের বাহিরে যেতে পারবেন না এবং বাহির থেকে কোন লোক প্রবেশ করতেও পারবেন না। এ সব এলাকায় কোন ধরনের গনপরিবন চলাচল করবে না।
জেলা প্রশাসক আর ও জানান গত ৯ এপ্রিল জেলার সোনাইমুড়ীতে সর্ব প্রথম এক ইতালী প্রবাসীর শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। এর পর হু হু করে বাড়তে খাকে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৯ মে পর্যন্ত ৯টি উপজেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৭৯ জন। এদের মধ্যে মৃত ছিল ১০ জন। গত ৮দিনে (৩০ মে থেকে ৬জুন) রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০০১জন। এই ৮দিনেই করোন আক্রান্তের সংখা বেড়েছে ৬২২ জন। এদের মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৪৫৫ জন, সদর উপজেলায় ২৩৬ জন।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডাঃ মো. মোমিনুর রহমান জানান, রেড জোনকে ইয়লো জন পরিণত করার লক্ষ্যে এবং করোনা সংক্রমন রোধে এই লকডাউনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে রেড জোন এলাকার লোকজন অতি প্রয়োজনে কিছু শর্ত সাপেক্ষে ঘরের বাহিরে যেতে পারবেন। শর্ত ভঙ্গ করতে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। তবে প্রতি রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহষ্পতিবার সকাল ৬ থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত মুদি দোকান, কাঁচা বাজার ও ঔষধের দোকান খোলা থাকবে। সামাজিত দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে বেছা কিনা চলবে। এছাড়াও ব্যাংখ সমূহ প্রতি রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সময় সূচী অনুযায়ী খোলা থাকবে।
এই সভায় নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য-পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন, নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মোমিনুর রহমান সহ বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীক প্রতিনিধি সহ, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।