নোয়াখালী প্রতিনিধি::
নোয়াখালী সদর উপজেলার এজবালিয়া ইউনিয়নে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে(১২)ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মোঃ সুমন(২৬) ও জাহিদ হোসেন(২২) নামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। গত কাল সন্ধায় উপজেলার চর শুল্লুকিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগী স্থানীয় চর শুল্লুকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে নোয়াখালীতে ধর্ষণের ঘটনায় জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবী করেছেন।
ভিকটিমের মা শাহীন আক্তার ও স্থানীয়রা জানান, বিকালে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর ড্রাইভার বাড়ির আবুল হোসেনের ঘরে টেলিভিশন দেখতে যায় ওই স্কুল ছাত্রী। এসময় পাশে থাকা আবুল হোসেনের মেয়ে লামিয়া আক্তার ঘরের বাহিরে গেলে ঘরের মধ্যে ওই স্কুল ছাত্রীকে একা পেয়ে তার মূখ চেপে ধরে ভিতরের একটি রুমে নিয়ে তার পরনের জামা-কাপর ছিঁড়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় লামিয়ার স্বামী সুমন। একই সময় ঘরের ভিতর ডুকে ধর্ষণ চেষ্টায় যুক্ত হন সুমনের শালা জাহাঙ্গীর ড্রাইভারের ছেলে জাহিদ হোসেন। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে দুই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সুদারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক টমাস বড়–য়া দুই যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ঘটনার বিষয়ে ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় ‘যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক’ নোয়াখালী এর আহবায়ক মোঃ আবুল কাসেম, যুগ্ম-আহবায়ক এ বি এম আবদুল আলীম সহ সকল নেটওয়ার্ক সদস্যবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে নেটওয়ার্ক প্রতিনিধিবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িত আপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বার্তা প্রেরক-
আবুল কাসেম
আহবায়ক,
যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, নোয়াখালী।