নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় বাড়ী তৈরীতে চাঁদা দাবীর অভিযোগ করছেন এক ব্যাবসায়ী, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মালামাল আনা নেয়া বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয় তাকে, প্রদিবাদ করলে কয়েক দফায় মারধর এবং বাড়ীতে ডুকে হামলার অভিযোগও করেন এই ভুক্তভোগী।
ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ৫ নং চরজুবিলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চর মহিউদ্দিন বাজারে।
চর মহিউদ্দিন গ্রামের জয়নাল আবেদিনের পুত্র ভুক্তভোগি ছালা উদ্দিন(৩৫) অভিযোগ করে বলেন, চর মহি উদ্দিন বাজারের পাশেই অবস্থিত তার বাড়ীতে একটি সাইড ওয়ালের বাড়ী নির্মাণের কাজ শুরু করেন গত ১৫ জুন সোমাবার তার ইটবাহী গাড়িটি বাড়ীতে প্রবেশ করার সময় ১ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবীতে বাড়ীতে মালামাল প্রবেশ করতে বাঁধা দেন চর মহিউদ্দিন গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র রহমান প্রকাশ রহমান মিস্ত্রী (৩৮), গিয়াস উদ্দিন(৪৫), গিয়াস উদ্দিনের পুত্র ফয়েজ (২৮), ফয়সাল (২৩), নিজাম সর্দ্দারের পুত্র ইউনুছ (২২)সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
এ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রতিবাদ করলে ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় চর মহি উদ্দিন বাজারে ভুক্তভোগি ছালা উদ্দিন ও তার ভাই সাইফুল(২০), আলমগীর(৪২)কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে।
বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বসে সমাধান করার আস্বাসে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ছালা উদ্দিন তার ছোট ভাই সাইফুলকে বাড়ী নির্মানে মালামালের বকেয়া টাকা পরিষদ করতে নগদ ২০ হাজার টাকা সহ স্থানীয় চরবাটা খাসের হাট বাজারে হোন্ডা যোগে পাঠালে বাড়ী থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাবার পর পূর্বপরিকল্পিত ভাবে অভিযুক্ত রহমান মেস্ত্রী তার ভাতিজা ফয়েজসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের ভাড়াটিয়া চাঁদাবাজ সাইফুলকে মারধর করে নগদ টাকা এবং হোন্ডা ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনাটি বাজারে এসে জানালে অভিযুক্তরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে রাত সাড়ে ১২ টায় ছালা উদ্দিনের বাড়ীতে গিয়ে হামলা ভাংচুর করে ছালা উদ্দিনকে রশি দিয়ে বেঁধে তার ঘরে ডুকে আলমিরা ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়
যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা চাঁদার টাকা ১ লক্ষ নয় ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলেও হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করে বলেন ভুক্তভোগি ছালা উদ্দিন।
ভুক্তভোগিরা রাতেই ঘটনাটি অবহিত করেন, সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আমির খসরুকে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আস্বাস দেন।
একের পর এক এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত রহমান মেস্ত্রীর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছালা উদ্দিনের বাড়ীর পথে পানি উঠে গেছে সেজন্য আমার ভাতিজা তার মালামাল নিতে বাঁধা দেয়। পরে বিষয়টি আমরা বসে সমাধান করার কথা বলি। চলাচলের সরকারি রাস্তায় মালামাল আনা নেয়ায় বাঁধা দেয়া যায় কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন’ আপনার কাজ আপনারা করুন, আমাদের কাজ আমরা করি” বলে মুঠো ফোনের সংযোগটি কেটে দেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের আহবায়ক আমির খসরুকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “উভয় পক্ষ আমার কাছে এসেছে, আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।
চর মহিউদ্দিনের স্থানীয় আওয়ামি লীগ নেতা ডাক্তার জামশেদ বলেন, চলাচলের পথ নষ্ট হবে মনে করে তারা বাঁধা প্রদান করেছে, আমরা সকলেই বসবাস করতে হবে, এসব ছোটখাটো বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার দরকার নেয়, বিষয়টি আমরা দেখবো।
চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেদ উদ্দিন বলেন, এব্যাপারে আমি কিছু জানিনা, লিখিত অভিযোগ পেলে, আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
ভুক্তভোগি ছালা ন্যায় বিচারের দাবীতে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।