নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক ওয়ার্ডবয় (৩৭) ও ওই হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নকর্মী (আয়া) (২৪)সহ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিনজনের। এনিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৪জন। জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৬জন, সদরে ২জন, সোনাইমুড়ীতে ২জন, হাতিয়ায় ২জন, সেনবাগে ১জন ও কবিরহাটে ১জন রোগী রয়েছে। যার মধ্যে সোনাইমুড়ীতে এক ইতালি প্রবাসী ও সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী মারা গেছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মো. মোমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে জেলায় মোট তিনজন রোগি করোনা পজেটিভ এসেছে। যার মধ্যে জেলার সদর উপজেলার নোয়াইন্ন ইউনিয়নে এক যুবক (২৫) ও হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্য কর্মী এবং একজন আয়া রয়েছেন। নতুন করে শনাক্তকৃতদের রবিবার পর্যবেক্ষন শেষে অবস্থা বুঝে জেলার শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ৮২শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হতে পারে। এছাড়া তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
হাতিয়া উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার রোগ নিয়ন্ত্রণ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, গত ২৫এপ্রিল হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নার্সসহ মোট ৫০জনে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৬এপ্রিল সকালে নমুনাগুলো বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছিল। এরআগে বেশ কয়েকজনের নমুনা রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছিল। ওইগুলো সব নেগেটিভ ছিল। শনিবার রাতে আসা নমুনাগুলোর মধ্যে এক ওয়ার্ডবয় ও এক আয়ার করোনা পজেটিভ আসে। ওই ওয়ার্ডবয় এর বাড়ী জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া ভুঁইয়ারহাট সংলগ্ন ইটালি মার্কেট এলাকায় এবং আয়া হাতিয়ার ওছখালি ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত আয়া বর্তমানে তার নিজ বাড়ীতে থাকলেও ওয়ার্ডবয় বর্তমানে মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ৮২শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
করোনা শনাক্ত হওয়া ওয়ার্ডবয়ের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গত ২৯এপ্রিল তিনি হাতিয়া থেকে জেলা শহর মাইজদীতে এসেছেন। পরদিন ৩০তারিখ বৃহস্পতিবার থেকে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ৮২শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবায় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এরআগে গত ৫এপ্রিল তিনি নিজ বাড়ী থেকে হাতিয়া নিজ কর্মস্থলে গিয়েছেন বলেও জানান। যদিও তার এলাকা থেকে খবর নিয়ে জানা গেছে তিনি বাড়ী থেকে না সোনাপুর লোহারপোল এলাকার তার শশুর বাড়ী থেকে নিজ কর্মস্থল হাতিয়ায় গিয়েছেন।
এদিকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলার নোয়াইন্ন ইউনিয়নে এক যুবকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে সদ্য নারায়ণগঞ্জ ফেরত বলে জানা গেছে। তার শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডি চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।