ডেস্ক রিপোর্ট::
নতুন করে অন্য দেশ থেকে কেউ হজে পালনে যেতে পারবেন না; সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে সীমিত সংখ্যকদের নিয়ে পালিত হবে ধর্মীয় এই আনুষ্ঠানিকতা।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বলে বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন হজে যেতে আগ্রহী ছিলেন। সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে তাদের হজে যাওয়া হচ্ছে না।
প্রতি বছর কুরবানির ঈদের সময় ২৫ লাখ মুসলমানদের অংশগ্রহণে সৌদি আরবে পালিত হয় ইসলাম ধর্মের অন্যতম ‘ফরজ’ হজ। এবার কভিড-১৯ মহামারী ইসলাম ধর্মের এই আনুষ্ঠানিকতা অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছিল।
সৌদি আরবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর কাবা শরিফেও নামাজ আদায় বন্ধ করে দিয়েছিল সৌদি সরকার। সোমবার নাগাদ বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ লাখ এবং সৌদি আরবে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সীমিত পরিসরে হজের আনুষ্ঠানিকতা সারার সিদ্ধান্ত এল।
আরব নিউজ জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি মন্ত্রণালয়। মহামারী চলতে থাকায় এবং বড় ধরনের জনসমাগমে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, বলা হয়েছে সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে এবার হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন হবে। সৌদি আরবে বাস করছেন, বিভিন্ন দেশের এমন নাগরিকদের স্বল্প সংখ্যক নাগরিক হজে অংশ নিতে পারবে।
গত বছর হজ পালনে বিভিন্ন দেশ থেকে ১৮ লাখ মুসলমান সৌদি আরবে গিয়েছিল বলে আরব নিউজ জানিয়েছে, তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল স্থানীয় মুসলমানরা। সৌদি হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মুসলমানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েই হজের আনুষ্ঠানিকতা সীমিত করা হয়েছে।
সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতাদের ফোরাম দি কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার হাজিদের সংখ্যা সীমিত রাখার এই সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছে বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।মিশরের মন্ত্রী মোহাম্মদ মোখতার গোমা মহামারীকালে সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন।