নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে জ্বর ও গলা ব্যাথা নিয়ে রেশমা আক্তার (৪০) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে তার বাড়ী। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে মৃত গৃহবধুর স্বামী ও দুই ছেলের।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের আব্দুল হকের বাড়ীতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। মৃত রেশমা আক্তার ওই বাড়ীর আব্দুল হকের স্ত্রী। তিনি দুই ছেলের জননী।
সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শায়লা সুলতানা ঝুমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রায় ১০দিন ধরে জ্বরে ভূগছিলেন গৃহবধূ রেশমা আক্তার। জ্বরের সাথে তার গলা ব্যাথাও ছিল। কিন্তু তার পরিবার ভালো কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে বাড়ীতে রেখেছিল। সোমবার দুপুরে রেশমার মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে করোনা উপসর্গ থাকায় ওই বাড়ীতে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে মৃত গৃহবধূর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একই সাথে তার সংস্পর্শে আসা তার স্বামী আব্দুল হক, ছেলে সবুজ ও সোহেলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নমুনা পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ইনস্ট্রিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড এনফেকসাস ডিজিস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামে পাঠানো হবে। করোনা রোগী দাফন কমিটির কর্মীদের দিয়ে তাকে দাফন করা হয়েছে।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবনুল হাসান জানান, মৃত নারীর বাড়ীটি লকডাউন ঘোষনা করে বাড়ীর সামনে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। নমুনা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে।
উল্লেখ, গত ছয় দিনে রেশমা আক্তার ছাড়াও ৩মে রবিবার রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউসুফ নামের চৌমুহনীর এক বাসিন্দা। গত ৩০এপ্রিল বুধবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নোয়াখালীর সদর উপজেলার করমুল্যা এলাকার বাসিন্দা রোকসানা আক্তার (১৭)। ৩মে রবিবার সকালে সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে মারা গেছেন মাদ্রাসা ছাত্রী সামিয়া আক্তার (১৩)। তার বাড়ী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলি গ্রামে।