ডেস্কঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডে আলোচিত আটজনের ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সোমবার বিএফআইইউ থেকে দেশে চলমান ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে চিঠি পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে স্থগিত করা হিসাবগুলোর লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউ চিঠিতে যে আটজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, চুমকী কারান, প্রতীম কুমার দাশ, প্রতুশ কুমার দাশ, মো. লিয়াকত আলী, দিলীপ ও বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়ক ইলিয়াস কোবরা। হিসাবগুলোকে লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ক্ষমতাবলে ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে প্রত্যেকের নামের পাশে জন্ম তারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।
এছাড়া রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গত শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যাব।
যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন–সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ।
আজ সকালে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।