নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে পরকীয়া প্রেমের জেরে জসিম উদ্দিন (২২) নামের এক যুবককে মোবাইলে ডেকে এনে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় রৌশন আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। নিহত জসিম উদ্দিন লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত রৌশন আক্তার বেগমগঞ্জ উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের চৌধুরী হাজী বাড়ীর মোরশেদ আলমের স্ত্রী।
অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জসিম উদ্দিনের সাথে বেগমগঞ্জের ধীতপুর গ্রামের ফারুকের স্ত্রী রেশমী আক্তার পিংকি (১৯) ও তার ননদ পারভীন আক্তার (২১) এর পরকীয়া প্রেম চলছে বলে একে অন্যকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। এনিয়ে রবিবার বিকালে পিংকি ও পারভীনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে পিংকি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে স্থানীয় আমিন বাজারে আসতে বলে। কল পেয়ে জসিম আমিন বাজারে আসলে মানিক, বাবু, রাফাত, জাবেদ ও রৌশন আক্তারের সহযোগিতায় জসিমকে জাহানাবাদ গ্রামের তার বাবার বাড়ীতে নিয়ে যায় পিংকি।
সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়ীতে বসলে জসিমের সাথে পিংকি ও তার লোকজনের বাকবির্তক হয়। বাকবির্তকের একপর্যায়ে পিংকির লোকজন জসিমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন জসিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পিংকি ও পারভীনের সাথে জসিমের পরকিয়া প্রেম চলছে এমন পাল্টপাল্টি অভিযোগে জসিমকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে কিল ঘুষির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জসিমের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২-৩জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।