নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের খাল পাড়ে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও পর্ণোগ্রাফি মামলায় রিমান্ডে থাকা মামলার এজাহারভুক্ত ৬নং আসামী সামছুদ্দিন সুমনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পিবিআই ইন্সেপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, রিমান্ডে থাকা আসামী সামছুদ্দিন সুমন তার ব্যবহৃত মোবাইলটিঘটনার পর বিক্রি করে দিয়েছিল। রিমান্ডে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদে সে মোবাইল বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ফেনী জেলা শহরে শান্তি নিকেতন এলাকা থেকে মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মুঠোফোনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ ও আসামীদের শাস্তির দাবীতে নোয়াখালী জেলা শহর, হাতিয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বৃহস্পতিবারও মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সন্ধ্যায় জেলা শহরে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করে। এরআগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী শাখা, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নোয়াখালী ও হাতিয়া শাখা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সাথে দেখা করতে তার বাবার বাড়ী একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখে পেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পর পুরুষের সাথে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন করে। ৪অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েল জেলায় তথা দেশ ব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।