নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বিয়ের তিন মাসের মাথায় যৌতুকের দাবীকৃত টাকা ও মালামাল না পেয়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের নলেরচরে শাবনুর বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী ফরিদ, শাশুড়ী ও এক ননদ জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে নিহতের বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।
শুক্রবার বিকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাবনুর বেগম হরণি ইউনিয়নের বয়ারচর নবীনগর এলাকার নূর ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় গত তিন মাস আগে নলেরচরের সাদ্দাম বাজার সংলগ্ন পূর্ব রহমতপুর গ্রামের বাহার মেস্ত্রী ছেলে ফরিদের সাথে বিয়ে হয় শাবনুরের। এরপর থেকে বিয়ের সময় ফরিদের পরিবারের দাবীকৃত টাকা ও জিনিস পত্রের জন্য শাবনুরকে চাপ দিতে থাকে। এনিয়ে ফরিদ ও তার পরিবারের লোকজন প্রায়সময় শাবনুরকে মারধর করতো। এর সূত্র ধরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের দাবীকৃত টাকা ও জিনিস পত্র আনার জন্য পুনঃরায় শাবনুরকে চাপ দিতে থাকে ফরিদ। এর এক পর্যায়ে মা ও বোনকে সাথে নিয়ে শাবনুরকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে ফরিদ। শাবনুর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বাড়ীর লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাবনুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাতিয়া মোরশেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিয়ের সময় বর পক্ষের টাকা ও জিনিস পত্র কম হয়েছে এনিয়ে শাবনুরকে তার স্বামী, শাশুড়ী ও ননদ মারধর করেছে বলে স্থানীরা জানিয়েছে। পরে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে প্রথমে সুবর্ণচর হাসপাতালে ও পরে নোয়াখালী জেনারেলে নিয়ে গেলে শাবনুর মারা যায়। নিহতের পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।