নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে দাবিকৃত ১লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে জসিম উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার আহত ব্যক্তিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরআগে বুধরাব সকালে পাঙ্খার বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মধ্যবাগ্যা গ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, চরজুবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য খলিল মেম্বার তার কাছে র্দীঘদিন যাবত পাঙ্খার বাজার এলাকায় তিন শতক জমি দাবি করে আসছিলেন। তিনি জমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন মেম্বার। তিনি চাঁদা দিতেও অস্বীকার করলে খলিল মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। মেম্বার তার জমি দখল করার পাঁয়তারা শুরু করলে জসিম তার জায়গার ওপর দোকান ঘর তুলে স্থানীয় আবদুল খালেকের কাছে ভাড়া দেন।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে জসিম উদ্দিন ওই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় খালেক মেম্বার একটি মোটর সাইকেল যোগে এসে হাতুড়ি দিয়ে তাকে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকেন। এসময় খালেক মেম্বারের অনুসারী ও তার স্বজনরা উপস্থিত থাকলেও কেউ তাকে বাধা দেয়নি। হাতুড়ির আঘাতে তার মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি কর হয়।
ইউপি সদস্য মো. খলিল উল্যাহ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দোকান ঘরের ওই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। পুলিশ ওই স্থানটি লাল কাপড় দিয়ে চিহিৃত করেও দিয়েছেন। কিন্তু জসিম প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওইখানে ঘর তুলে। বুধবার সকালে ওই ঘরের মধ্যে সে মালামাল তুলছিল। এসময় আমি বাড়ী থেকে মোটর সাাইকেল যোগে আসার পথে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাস করতে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে আমি জসিমকে ধাক্কা দিলে সে দোকানের ঝাপের ওপর পড়ে হাতের একটু অংশ কেটে যায়। হাতুড়ি দিয়ে পিটানোর বিষয়টি সম্পুন্ন মিথ্যা।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন বলেন, এঘটনায় তার কাছে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করে নি। তবে তিনি ঘটনাটি বৃহষ্পতিবার জেনেছেন। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।