নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নে এক কিশোরীকে (১৮) বাড়ী থেকে মোটরসাইকেল যোগে তুলে নদীর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে ধর্ষক হেলাল ও তার সহযোগি জামসেদকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে ধর্ষক হেলাল উদ্দিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে কাজিরটেক এলাকা থেকে হেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হেলাল ওই এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে। সে পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক। অপর আসামী জামসেদ (৩২) রহমতপুর গ্রামের বেলাল মাঝির ছেলে।
ধর্ষিতার অভিযোগের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মোরশেদ বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আব্দুল হালিম জানান, ১৮বছর বয়সী ওই কিশোরী পাশ^বর্তী জেলা লক্ষ্মীপুরে একটি বাসায় ঝিয়ের (কাজের মেয়ে) কাজ করতো। গত ৪-৫দিন আগে সে তার বাবার বাড়ী হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের পূর্ব রসুলপুর গ্রামে আসে। গত ২৪অক্টোবর শনিবার রাত ১টার দিকে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে আগ থেকে উৎপেতে থাকা হেলাল ও জামসেদ তাকে পিছন থেকে মুখ-হাত চেপে ধরে বাড়ীর পাশের রাস্তায় নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চাম্মার ঘাট মেঘনা নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে জামসেদের সহযোগিতায় হেলাল উদ্দিন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো আবুল খায়ের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনায় রবিবার ওই কিশোরী বাদী হয়ে হেলালকে প্রধান ও জামসেদকে দ্বিতীয় আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে কাজিরটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক হেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। হেলালের সহযোগি জামসেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।