সাহেদ সাব্বির, ফেনী:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবির মর্যাদা, সম্মান ও আলোচনাকে সবার উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব রাসূল (সাঃ)। রাসুলের অবমাননায় মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ বয়।
ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনীর প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার যুব সমাজ ও জনসাধারণ। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাটে যুব সমাজের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়৷
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ আরাফাত,আবদুল্লাহ মজুমদার, জাহিদ ওসমান রকি প্রমুখ। বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে বিক্ষেপকারীরা ফ্যান্সের জাতীয় পতাকা পুড়ায়।
বিক্ষোভ প্রতিবাদের আয়োজনকারীদের একজন আবদুল্লাহ বলেন ফ্যান্সের বিতর্কিত ম্যাগাজিন শার্লি হেবদো বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম কার্টুন প্রকাশ করে শুধু বিশ্বনবিকেই অপমান করেনি বরং কোটি কোটি মুমিন মুসলমানের হৃদয়ে ও অনুভূতিতে আঘাত করেছে, অপমান করেছে। এর প্রতিবাদে আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। শুধু ফ্রান্সে নয়, বিশ্বের অনেকগুলো দেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। আমরা সেই সব ঘটনার নিন্দা জানাই।
সমাবেশ থেকে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা প্রস্তাব এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করার ও পন্য বয়কটের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনী হয়েছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। বক্তারা আরও বলেন, রাষ্টীয় ভাবে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানাতে হবে। অন্যথায়, আমাদের আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।’
তথ্যমতে, গত ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক স্কুলশিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ সম্পর্কে পুলিশ জানায়, হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। তিনি চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে। নিহত শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। তার পর তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ফ্রান্সের পুলিশ দেশটির অন্তত ৫০টি মসজিদ এবং মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ভয়াবহ অভিযান চালায়। সাড়ে পাঁচ বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত কার্টুন ছাপানোর পর ফ্রান্সের ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি এবদোতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আবারও সেটি ছাপিয়েছে ম্যাগাজিনটি। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও এর পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁ।