নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অপরাজনীতির বড় প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে আপন তিন ভাগ্নে।
রোববার (৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের বীর উত্তম নুরুল হক মিলনায়তনে কাদের মির্জার বিরোধীপক্ষের আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আপন তিন ভাগ্নে মামা কাদের মির্জার অপরাজনীতি এবং অপশাসনের চিত্র তুলে ধরে তাকে তুলোধুনো করেছেন।
তারা এক সময় কাদের মির্জার বিশ্বস্ত ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিল।
কাদের মির্জার ভাগ্নে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেছেন, কাদের মির্জা আ’লীগের টিকেটে পৌরসভার মেয়র হয়েছেন। দলের হাজার হাজার নেতাকর্মি তার জন্য কাজ করেছে। কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কাদের মির্জা অপরাজনীতির হোতা, তার থেকে দূরে সরে আসেন। তার কাছে কিছু নেই, তার কাছে কিছুই নেই। আইসোলেশন সেন্টারের নামে কাদের মির্জা ৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে বলে মন্তব্য করেন ভাগ্নে মঞ্জু। এ সময় ভাগ্নে আল্লার ওয়াস্তে অপরাজনীতি বন্ধ করতে মামা কাদের মির্জাকে আহ্বান করেন।
কাদের মির্জার ভাগ্নে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত বকৃক্তায় বলেন, আপনারা জানেন ওই আবদুল কাদের মির্জা ৪৭ বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জের আ’লীগ রাজনীতিকে জিম্মি করে রেখেছে। আজকে আওয়ামী পরিবার তার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। আজকে তিনি সত্য বচনের নামে অনেক নেতার চরিত্র হনন করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সমন্ধে বিরুপ মন্তব্য করেছেন। আমাদের গর্বের ধন প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। শুধু এটা করে ক্ষান্ত হননি। তিনি আমার মাতৃতুল্য ইসরাতুন নেছা কাদের সমন্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে। এই অপশক্তিকে রোখার জন্য যা যা করার দরকার আমরা তা করব। আজকে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ এখানে ঘোষণা করতে এসেছে কোম্পানীগঞ্জের মাঠি শেখ হাসিনার ঘাঁটি, কোম্পানীগঞ্জের মাঠি ওয়াদুল কাদেরের ঘাঁটি।
কাদের মির্জার ভাগ্নে রামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছালেকীন রিমন বলেন, কাদের মির্জা গত ত্রিশ বছর কোম্পানীগঞ্জের আ’লীগকে জিম্মি করে রেখেছে। এ সময় তিনি ঐতিহাসিক দিনে কাদের মির্জার অপরাজনীতিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।