নোয়াখালী প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি কারো রক্ষ চক্ষুকে ভয় করিনা। মানুষের আমার ওপর দরদ আছে। মানুষের হৃদয়ের খবর নেন। যত ঘটনা ঘটেছে। সকল ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত ঢাকা থেকে করতে হবে। পিবিআইকে মামলা দিছে। পিবিআই আগে কি বলেছে, এখন কি বলে বুঝিনা। এটা এসপি সাহেব পিবিআইকে প্রভাবিত করে মামলা ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় বসুরহাট জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার নেত্রী আমাকে বলেছে তুমি শান্ত থাক। আমি শান্ত আছি, আমি কারো কাছে বলবোনা। আমি বিচার আল্লার কাছে দেব। আর সমস্ত কাগজ পত্র রেডি করে রেখেছি সেগুলা আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেব। আমি কোন বাটপার নেতার পিছনে রাজনীতি করিনা। আমি রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে, আমি রাজনীতি করি শেখ হাসিনার উন্নয়নের, আমি রাজনীতি করি, শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে রাজনীতি করছে, আমি সে রাজনীতির সাথে আছি।
কাদের মির্জা আরো বলেন, আমি আছি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল যে অটিজমের ওপর কাজ করে, প্রতিবন্ধীর ওপর কাজ করে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে। তাঁর দুইটা সন্তান ছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ সহযোগীতা করে না। সবাই বলে আপনি সেনাবাহিনীর প্রধান অমুককে বানান, নৌ-বাহনীর প্রধান অমুককে বানান, বিমান বাহিনীর প্রধান অমুককে বানান, অমুককে এমপি বানান, অমুককে মন্ত্রী বানান, এসব নিয়ে ব্যস্ত সব নেতা। কিন্তু এ দু’জন জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে সহযোগীতি করে। এ সময় তিনি দাবি করেন, নোয়াখালীর ডিসি,এসপি, ডিবির ওসি, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি ও ওসি (তদন্ত) এদেরকে প্রত্যাহার না করলে যতই চেষ্টা করুক, কোম্পানীগঞ্জে শান্তি আসবেনা। এটা স্পষ্ট।