নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীতে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স ও দুই ভাইসহ আরও ২০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে প্রথম একজন আক্রান্ত হয়েছেন সুবর্ণচরে। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭জন।
শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান। তিনি বলেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নোয়াখালী সদরে ৩, বেগমগঞ্জে ১২, কবিরহাটে ৪ ও সুবর্ণচরে ১জন রয়েছেন। করোনা মুক্ত হয়েছেন সোনাইমুড়ীতে ১, বেগমগঞ্জে ৬, সদরে ২ ও চাটখিল উপজেলায় ২জন। মাইজদী শহীদ ভূলু স্টেডিয়ামের অস্থায়ী আইসোলেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭জন।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ও উপজেলা রোগ নিয়ন্ত্রণ ডা. সালজার হোসেন বলেন, শহীদ ভূলু স্টেডিয়ামের অস্থায়ী আইসোলেশন হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্স (৩৫) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উনাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়া সোনাপুর শ্রীপুরের ব্যবসায়ীর দুই ছেলেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তারা বাবার সংস্পর্শে আসায় গত ১২ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের তিনজনের মধ্যে উপসর্গ থাকায় বর্তমাে স্টেডিয়ামে আইসোলেশনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত ১৬জন।
সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শায়লা সুলতানা ঝুমা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ২৫বছর একজন সেবিকা (নার্স) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই নার্সসহ ১৭জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের কোয়াটারে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার শ্বাস কষ্ট রয়েছে।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৩২বছর বয়সী একজন কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ্ ফোভাইডর রয়েছেন। তার বাড়ী নরোত্তমপুর ইউনিয়নের কালিরহাট এলাকায়। এছাড়াও বাটইয়া ইউনিয়নের ১৯ বছর বয়সী এক যুবতী, ২৭ বছরের এক যুবক ও ঘোষবাগ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের এক ব্যক্তি (৩৪) রয়েছেন। যিনি ঢাকার একটি ক্লিনিকে চাকরি করতেন। আক্রান্তদের বাড়ীগুলো লকডাউন করা হয়েছে। তাদের শরীরে কোন উপসর্গ না থাকায় সবাইকে নিজ বাড়ীতে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত ৬জন। এদের মধ্যে সবিরপাইক এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ্ ফোভাইডরের দ্বিতীয় নমুনা নেগেটিভ আসছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস জানান, নতুন করে উপজেলায় আরও ১২জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই চৌমুহনীর পৌরসভার বাসিন্দা। আক্রান্তদের বাড়ীগুলো লকডাউন ঘোষনা করে তাদের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। উপজেলায় এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫১জন।
উল্লেখ্য, জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭জন। যার মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জে ৫১জন, সদরে ১৬জন, সোনাইমুড়ীতে ১১জন, হাতিয়ায় ৫জন, সেনবাগে ১জন, কবিরহাটে ৬জন, চাটখিলে ৫জন, কোম্পানীগঞ্জ ১ ও সুবর্ণচর উপজেলায় ১জন রয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন সোনাইমুড়ীতে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসী, সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮) ও বেগমগঞ্জে তারেক হোসেন (৩০) নামের এক ব্যবসায়ী।