ছবি: সংগৃহীত
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকে ঘিরে আগামী তিন দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে চলাচল করবেন। এ সময় বিভিন্ন সড়ক বন্ধ থাকবে। কোথাও কোথাও যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এজন্য গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যান এসব সড়ক এড়িয়ে চলতে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ বিকালে রামনাথ কোবিন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যাবেন। এসময় শাহবাগ, কাকরাইল, প্রেসক্লাব, রাজউক ও মৎস্য ভবন এলাকার সড়ক বন্ধ থাকবে।
এদিকে ১৬ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার স্মৃতিসৌধে যাবেন। সেখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকায় ফিরবেন। তাদের আসা যাওয়ার এই সময় বঙ্গভবন ও গণভবন থেকে গাবতলী -সাভার সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী সকাল ৮টায় গণভবন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর যাবেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রথমে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তারপর সকাল ১০টায় যাবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। এসময় ফের বঙ্গভবন থেকে আগারগাঁও প্যারেড গ্রাউন্ড এবং গণভবন থেকে আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক বন্ধ থাকবে। অনুষ্ঠান শেষে যাওয়ার সময়ও সড়ক বন্ধ থাকবে। ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এসময় বিদেশি অতিথিরাও থাকবেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য ফের সড়ক বন্ধ থাকবে।
১৭ ডিসেম্বর শনিবার সকালে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ঢাকার রমনার কালী মন্দিরে যাবেন। সেখানে মন্দিরের সংস্কারকৃত অংশের উদ্বোধন এবং কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বিকাল ৩টায় তিনি দিল্লির উদ্দেশে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে যাবেন। এসময় এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এদিকে বিকাল ৩টায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এসময় বঙ্গভবন থেকে সংসদ ও গণভবন থেকে সংসদের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ।
এদিকে ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ২১ পয়েন্টে ডাইভারশন থাকবে। আর দুপুর ১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১২টি পয়েন্টে এই বাধা থাকবে। এই পয়েন্টগুলো থেকে অনুষ্ঠানে আসা যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যেতে পারবে না। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানীর যে ২১ পয়েন্টে ডাইভারশন থাকবে: সোনারগাঁও ক্রসিং, ফার্মগেট ক্রসিং, বিজয় সরণি ক্রসিং, লাভরোড ক্রসিং (পূর্ব প্রান্ত), মহাখালী ক্রসিং (ফ্লাইওভারের উত্তর), মহাখালী ক্রসিং (রেল ক্রসিং), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় লিংক রোড ক্রসিং, খেঁজুর বাগান ক্রসিং, আগারগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, মিরপুর-১০, সংগীত কলেজ গলি, বিসিএস কম্পিউটার সিটি গলি, পাসপোর্ট গ্যাপ, নির্বাচন কমিশন অফিস গ্যাপ, ৬০ ফিট রোড, চক্ষু হাসপাতাল গলি, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল গ্যাপ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্যাপ, শিশু মেলা ক্রসিং, প্রতিরক্ষা গ্যাপ ও গণভবন ক্রসিং। সংসদ ভবন প্লাজার অনুষ্ঠান ঘিরে দুপুর থেকে ১২ পয়েন্টে ডাইভারশন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মুজিব শতবর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান ঘিরে সংসদ ভবন ও আশপাশের ১২ টি পয়েন্টে দুপুর ১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশের ডাইভারশন থাকবে।
পয়েন্টগুলো হলো: ফার্মগেট ক্রসিং, বিজয় সরণি, উড়োজাহাজ ক্রসিং, খেঁজুর বাগান ক্রসিং, মানিক মিয়া পূর্ব প্রান্ত, মানিক মিয়া পশ্চিম প্রান্ত, ধানমন্ডি-২৭ নম্বর পূর্ব মাথা, আড়ং ক্রসিং, আসাদগেট, গণভবন ক্রসিং, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গ্যাপ ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল গ্যাপ। ডাইভারশন পয়েন্ট থেকে নির্ধারিত স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়ি অনুষ্ঠান স্থলের দিকে যেতে পারবে না। তবে অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি যান চলাচল করতে পারবে বলে জানান ডিএমপি তেজগাঁও (ট্রাফিক) বিভাগের উপকমিশনার সাহেদ আল মাসুদ।