ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কোম্পানীগঞ্জে প্রতিদিন জলদস্যু-ভূমিদস্যুরা খাস জমি বিক্রি করছে: উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১০৩২৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জলদস্যুরা-ভূমিদস্যুরা সব খাস জমি বিক্রি করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, মুছাপুর ক্লোজারে ২ হাজার একর খাস জমি আছে। ডেইলী দখল বিক্রি হচ্ছে, আমরা নিরব। আমাদের নেতাকর্মিরা সুযোগ পাচ্ছেনা।

 

গতকাল বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

উপজেলা চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন খাস জমি বিক্রির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, কোম্পানীগঞ্জের উড়িরচর হওয়ার পরে ২ হাজার একর জমি উঠেছে। সে জমি কাদের দখলে, কারা দখল করে নিচ্ছে। ২০১১ লিস্টি তৈরী করেছি মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে জমি দেওয়ার জন্য। আজকে ২০২২ সাল, এখন পর্যন্ত আমরা বুঝিয়ে দিতে পারিনি। আমরা আমাদের নেতাকর্মিদের সুবিধা দিতে পারি নাই। কেন আমরা দিতে পারতেছিনা। কোথায় বাধা, খালি আদর্শ খাওয়াবো।

 

নেতাকর্মিদের উদ্দেশ করে বলেন, সামনে গ্রামে যাব ভোটের জন্য। এখনো যদি কিছু না করতে পারি মানুষ থুথু মারবে। আমরা কোম্পানীগঞ্জে ভোট করব। কোম্পানীগঞ্জে আমরা গ্যাসের কথা বলেছি। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এটা নিয়ে অনেক আন্দোলন করেছে। কিন্তু আমরা কি গ্যাস পেরেছি। কি জবাব দেবো। কোম্পানীগঞ্জে কতজনের চাকরি হইছে। একটি প্রতিবন্ধী ছেলে সড়ক মন্ত্রণালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে একটি চাকরিতে রিটেনে টিকেছে। ছেলেটা আমার কাছে ফোন করে অনেকবার কেঁদেছে। সে ছেলেটাকেও আমি চাকরি দিতে পারি নাই। অনেক লোক আমাদের মন্ত্রণালয়ে টিকে আমরা চাকরি দিতে পারি নাই। কেন কি জন্য, খালি আদর্শ খাওয়াবেন,মানুষ খাবেনা।

 

তিনি আরো বলেন, আমি এখই রিজাইন দিতে চাই। আমাদের মন্ত্রীর অসম্মান হবে। আমি ঊনাকে বলেছি ভাইজান আমাকে মাফ করেন। এজন্য না হলে আমি এখনই রিজাইন দিতাম। আমি আওয়ামীলীগের অর্থনীতির কোনো সুবিধা ভোগীরা। আমি কিছু খরচ করি। আমি কোন পদ পদবীতে যাবোনা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রীর ভাগনে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকিন রিমন প্রমূখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

কোম্পানীগঞ্জে প্রতিদিন জলদস্যু-ভূমিদস্যুরা খাস জমি বিক্রি করছে: উপজেলা চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ১২:০৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জলদস্যুরা-ভূমিদস্যুরা সব খাস জমি বিক্রি করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, মুছাপুর ক্লোজারে ২ হাজার একর খাস জমি আছে। ডেইলী দখল বিক্রি হচ্ছে, আমরা নিরব। আমাদের নেতাকর্মিরা সুযোগ পাচ্ছেনা।

 

গতকাল বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

উপজেলা চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন খাস জমি বিক্রির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, কোম্পানীগঞ্জের উড়িরচর হওয়ার পরে ২ হাজার একর জমি উঠেছে। সে জমি কাদের দখলে, কারা দখল করে নিচ্ছে। ২০১১ লিস্টি তৈরী করেছি মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে জমি দেওয়ার জন্য। আজকে ২০২২ সাল, এখন পর্যন্ত আমরা বুঝিয়ে দিতে পারিনি। আমরা আমাদের নেতাকর্মিদের সুবিধা দিতে পারি নাই। কেন আমরা দিতে পারতেছিনা। কোথায় বাধা, খালি আদর্শ খাওয়াবো।

 

নেতাকর্মিদের উদ্দেশ করে বলেন, সামনে গ্রামে যাব ভোটের জন্য। এখনো যদি কিছু না করতে পারি মানুষ থুথু মারবে। আমরা কোম্পানীগঞ্জে ভোট করব। কোম্পানীগঞ্জে আমরা গ্যাসের কথা বলেছি। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এটা নিয়ে অনেক আন্দোলন করেছে। কিন্তু আমরা কি গ্যাস পেরেছি। কি জবাব দেবো। কোম্পানীগঞ্জে কতজনের চাকরি হইছে। একটি প্রতিবন্ধী ছেলে সড়ক মন্ত্রণালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে একটি চাকরিতে রিটেনে টিকেছে। ছেলেটা আমার কাছে ফোন করে অনেকবার কেঁদেছে। সে ছেলেটাকেও আমি চাকরি দিতে পারি নাই। অনেক লোক আমাদের মন্ত্রণালয়ে টিকে আমরা চাকরি দিতে পারি নাই। কেন কি জন্য, খালি আদর্শ খাওয়াবেন,মানুষ খাবেনা।

 

তিনি আরো বলেন, আমি এখই রিজাইন দিতে চাই। আমাদের মন্ত্রীর অসম্মান হবে। আমি ঊনাকে বলেছি ভাইজান আমাকে মাফ করেন। এজন্য না হলে আমি এখনই রিজাইন দিতাম। আমি আওয়ামীলীগের অর্থনীতির কোনো সুবিধা ভোগীরা। আমি কিছু খরচ করি। আমি কোন পদ পদবীতে যাবোনা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রীর ভাগনে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকিন রিমন প্রমূখ।