সংবাদ শিরোনাম ::
পাখি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, ৩দিন পর পুকুরে মিলল মাদরাসা ছাত্রের লাশ সুবর্ণচর দলিল লেখক সমিতির শোকসভা, দোয়া ও চেক হস্তান্তর বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার-২ ধীর গতিতে নামছে নোয়াখালীর পানি চাঁদা না পেয়ে ভূমিহীনদের চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন আগাম বন্যায় দিশেহারা নোয়াখালীর মানুষ, বাড়ছে মহুরী নদীর পানি দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আ.লীগ নেতার মা, চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু সালিশ বানিজ্য বা সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির কোন সুযোগ নেই, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নোয়াখালী বিএনপি Widow gang-raped in the dead of night, 1 arrested গভীরে রাতে পুকুর পাড়ে নিয়ে বিধবাকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ১

ছয় কোটি সেলফোন গ্রাহক করোনাকালীন সময় শহর ও গ্রামে ছুটেছেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কভিড-১৯ মহামারিকালে সারা দেশে সাড়ে ছয় কোটির বেশি মোবাইল গ্রাহক শহর থেকে গ্রামে এবং গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াত করেছেন বলে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব জানিয়েছে।

বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গতকাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসেন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ-অ্যামটবের নেতারা। সেখানেই সাংবাদিকরা জানতে চান মহামারিকালে গত তিন মাসে মোবাইল গ্রাহকদের শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে চলাচল সম্পর্কে।

জবাবে অ্যামটব মহাসচিব এসএম ফরহাদ বলেন, ‘আমাদের হিসেবে ৪০ শতাংশ গ্রাহক এ ধরনের মুভমেন্ট করেছেন।’

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসেবে গত মার্চ নাগাদ দেশের চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার কাছাকাছি গিয়ে সাড়ে ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে। এ হিসাবে মহামারিকালে ছয় কোটি ৪০ লাখের বেশি মোবাইল সিমের গ্রাহক শহর থেকে গ্রাম বা গ্রাম থেকে শহরে বিভিন্ন দূরত্বে যাতায়াত করেছেন।

কোনো ব্যক্তি একাধিক মোবাইল সিম ব্যবহার করলে তার সবগুলোই এ হিসাবে এসেছে। ব্যক্তি হিসেবে কতজন এ সময়ে গ্রাম-শহরে চলাচল করেছেন তা এখান থেকে বোঝা যাবে না।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সে সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর ধাপে ধাপে সেই ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয় ৩০ মে পর্যন্ত। শেষ দিকে বিপণিবিতান ও দোকানপাট, মসজিদ এবং পোশাক কারখানার ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া হলেও আন্তঃজেলা বাস ও গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।

লকডাউনের ওই দুই মাসে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প পরিবহনে মানুষ ঢাকা ছাড়ে বা ঢাকায় প্রবেশ করেছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় সারা দেশে লকডাউন জারি রাখার পর ৩১ মে থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার। এরপর মানুষের চলাচল আরও বেড়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ছয় কোটি সেলফোন গ্রাহক করোনাকালীন সময় শহর ও গ্রামে ছুটেছেন

আপডেট সময় : ১১:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কভিড-১৯ মহামারিকালে সারা দেশে সাড়ে ছয় কোটির বেশি মোবাইল গ্রাহক শহর থেকে গ্রামে এবং গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াত করেছেন বলে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব জানিয়েছে।

বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গতকাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসেন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ-অ্যামটবের নেতারা। সেখানেই সাংবাদিকরা জানতে চান মহামারিকালে গত তিন মাসে মোবাইল গ্রাহকদের শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহরে চলাচল সম্পর্কে।

জবাবে অ্যামটব মহাসচিব এসএম ফরহাদ বলেন, ‘আমাদের হিসেবে ৪০ শতাংশ গ্রাহক এ ধরনের মুভমেন্ট করেছেন।’

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসেবে গত মার্চ নাগাদ দেশের চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার কাছাকাছি গিয়ে সাড়ে ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে। এ হিসাবে মহামারিকালে ছয় কোটি ৪০ লাখের বেশি মোবাইল সিমের গ্রাহক শহর থেকে গ্রাম বা গ্রাম থেকে শহরে বিভিন্ন দূরত্বে যাতায়াত করেছেন।

কোনো ব্যক্তি একাধিক মোবাইল সিম ব্যবহার করলে তার সবগুলোই এ হিসাবে এসেছে। ব্যক্তি হিসেবে কতজন এ সময়ে গ্রাম-শহরে চলাচল করেছেন তা এখান থেকে বোঝা যাবে না।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সে সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর ধাপে ধাপে সেই ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয় ৩০ মে পর্যন্ত। শেষ দিকে বিপণিবিতান ও দোকানপাট, মসজিদ এবং পোশাক কারখানার ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া হলেও আন্তঃজেলা বাস ও গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।

লকডাউনের ওই দুই মাসে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প পরিবহনে মানুষ ঢাকা ছাড়ে বা ঢাকায় প্রবেশ করেছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় সারা দেশে লকডাউন জারি রাখার পর ৩১ মে থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার। এরপর মানুষের চলাচল আরও বেড়ে যায়।