ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

কোম্পানীগঞ্জে খাবারে বিষ মিশিয়ে ডাকাতি, অসুস্থ্য-৯

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০ ১৪০১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ০৮ নং ওয়ার্ড মুসল্লি বাড়ী সংলগ্ন ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ফারুকীর বাসায় পরিবারের সদস্যদেরকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে অচেতন করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ফারুকী বসুরহাট বাজারের মুকবুল আহমদ চৌধুরী মার্কেটে আজিজিয়া ক্লথ ষ্টোর এর মালিক। অসুস্থ্যরা হলেন, ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন (৪৫), মা মেহেরুন নেছা (৮০), মেয়ে জয়নব উদ্দিন ছাদিহা (৮), ভাতিজা মোঃ খালেদ (১৫), রাহেনা আক্তার (৩০), আশ্ররাফুল আলম রাহাত (৮), সিদরাতুল মুনতাহা (৩), জাহেদুল ইসলাম রাকিন (১২) ও দোকান কর্মচারী আবদুল্লাহ আল মামুন (২০)। এদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম রাকিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। অপর ৮ জনকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর শুক্রবার রাতেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাহয়েছে।

ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী রেজিয়া সুলতানা নাসরিন জানান, শুক্রবার রাতে বাসায় অনেক মেহমান ছিল। রাতে খাবার রান্নার পর জানালার পাশে রাখা হয়েছি। ওই সময় জানালা খোলা ছিল। ধারনা করা হচ্ছে, খোলা জানালা দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ডাকাতদল রান্না করা তরকারীতে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দিয়েছে। ওই তরকারী ও খাবার আমি ছাড়া সকলে খায়। খাবার শেষে সকলে ঢুলু-ঢুলু অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর গভীর রাতে গ্রিলের এসএস পাইপ ভেঙ্গে মুখোস পরা ডাকাতদল ভেতরে প্রবেশ করে।

এ সময় ডাকাতদল ঘরের অন্যান্যরা অচেতন থাকলেও আমাকে সচেতন দেখে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার রুমে জিম্মি করে রাখে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল আলমিরা ভেঙ্গে সব রুমে সব জিনিসপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে ৮ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৮-১০টি মোবাইল সেট, নগদ ১০-১৫ হাজার টাকাসহ নানা ব্যবহার সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদল চলে যাওয়ার পর আমার শোরচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে অচেতনদেরকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব প্রাপ্ত কবিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুল কাদের জানান, এটি ডাকাতির ঘটনা নয়। নিছক একটি চুরির ঘটনা। তবে সকলকে অচেতন করে একজন চোরই এ লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রসঙ্গত; গত ৫ আগষ্ট উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার আবদুস সোবহান এর বাড়ীর আমেরিকা প্রবাসীর ঘরে, ২৩ জুলাই চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সিরাজুল ইসলামের বাড়ী দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত ২৯ জুলাই উপজেলার চরহাজারী ২নং ওয়ার্ড এলাকায় বিকাশের ৯০লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ের এখনও কোন কুলকিনারা হয়নি। ৯০ লাখ টাকা ছিনতাই মামলাটি এখন পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন) তদন্ত করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

কোম্পানীগঞ্জে খাবারে বিষ মিশিয়ে ডাকাতি, অসুস্থ্য-৯

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ০৮ নং ওয়ার্ড মুসল্লি বাড়ী সংলগ্ন ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ফারুকীর বাসায় পরিবারের সদস্যদেরকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে অচেতন করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন ফারুকী বসুরহাট বাজারের মুকবুল আহমদ চৌধুরী মার্কেটে আজিজিয়া ক্লথ ষ্টোর এর মালিক। অসুস্থ্যরা হলেন, ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন (৪৫), মা মেহেরুন নেছা (৮০), মেয়ে জয়নব উদ্দিন ছাদিহা (৮), ভাতিজা মোঃ খালেদ (১৫), রাহেনা আক্তার (৩০), আশ্ররাফুল আলম রাহাত (৮), সিদরাতুল মুনতাহা (৩), জাহেদুল ইসলাম রাকিন (১২) ও দোকান কর্মচারী আবদুল্লাহ আল মামুন (২০)। এদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম রাকিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। অপর ৮ জনকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর শুক্রবার রাতেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাহয়েছে।

ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী রেজিয়া সুলতানা নাসরিন জানান, শুক্রবার রাতে বাসায় অনেক মেহমান ছিল। রাতে খাবার রান্নার পর জানালার পাশে রাখা হয়েছি। ওই সময় জানালা খোলা ছিল। ধারনা করা হচ্ছে, খোলা জানালা দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ডাকাতদল রান্না করা তরকারীতে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দিয়েছে। ওই তরকারী ও খাবার আমি ছাড়া সকলে খায়। খাবার শেষে সকলে ঢুলু-ঢুলু অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর গভীর রাতে গ্রিলের এসএস পাইপ ভেঙ্গে মুখোস পরা ডাকাতদল ভেতরে প্রবেশ করে।

এ সময় ডাকাতদল ঘরের অন্যান্যরা অচেতন থাকলেও আমাকে সচেতন দেখে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার রুমে জিম্মি করে রাখে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল আলমিরা ভেঙ্গে সব রুমে সব জিনিসপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে ৮ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৮-১০টি মোবাইল সেট, নগদ ১০-১৫ হাজার টাকাসহ নানা ব্যবহার সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদল চলে যাওয়ার পর আমার শোরচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে অচেতনদেরকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব প্রাপ্ত কবিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুল কাদের জানান, এটি ডাকাতির ঘটনা নয়। নিছক একটি চুরির ঘটনা। তবে সকলকে অচেতন করে একজন চোরই এ লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রসঙ্গত; গত ৫ আগষ্ট উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার আবদুস সোবহান এর বাড়ীর আমেরিকা প্রবাসীর ঘরে, ২৩ জুলাই চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সিরাজুল ইসলামের বাড়ী দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত ২৯ জুলাই উপজেলার চরহাজারী ২নং ওয়ার্ড এলাকায় বিকাশের ৯০লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ের এখনও কোন কুলকিনারা হয়নি। ৯০ লাখ টাকা ছিনতাই মামলাটি এখন পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন) তদন্ত করছে।