ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

৪ দিন পর দোকান থেকে কবিরাজের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

সেনবাগ প্রতিবেদক, নোয়াখালী:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩ ১ বার পড়া হয়েছে

সেনবাগ থানার প্রধান ফটকের ছবি সংগৃহত

সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা থেকে পুলিশ এক কবিরাজের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত কবিরাজ আব্দুল গফুর (৭০) উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় গ্রামের বারেক হাজারী বাড়ির মৃত হাজর আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কানকিরহাট বাজারের একটি দোকান থেকে পুলিশ এই মরদেহ উদ্ধার করে।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত গফুর গত ২০ বছর কানকিরহাট দক্ষিন বাজারে একটি ঘরে বসবাস করেন এবং ওই ঘরেই কবিরাজি করতেন। জরুরি প্রয়োজন হলে গ্রামের বাড়ি যেতেন। সর্বশেষ গত ২৮ জুন তিনি বাড়ি যান। এরপর দুপুর ৩টার দিকে দোকানে ফিরে আসেন। তারপর থেকে পরিবারের কারো সাথে তার যোগাযোগ হয়নি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার দোকান থেকে পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। গন্ধ পেয়ে পথচারীরা দোকানে উঁকি দিয়ে দেখেন মেঝেতে তার মরদেহ পড়ে আছে।

 

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। লাশ পচে ফুলে উঠেছে। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ৩-৪ দিন আগে তিনি মারা যান। তবে শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

৪ দিন পর দোকান থেকে কবিরাজের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা থেকে পুলিশ এক কবিরাজের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত কবিরাজ আব্দুল গফুর (৭০) উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় গ্রামের বারেক হাজারী বাড়ির মৃত হাজর আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কানকিরহাট বাজারের একটি দোকান থেকে পুলিশ এই মরদেহ উদ্ধার করে।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত গফুর গত ২০ বছর কানকিরহাট দক্ষিন বাজারে একটি ঘরে বসবাস করেন এবং ওই ঘরেই কবিরাজি করতেন। জরুরি প্রয়োজন হলে গ্রামের বাড়ি যেতেন। সর্বশেষ গত ২৮ জুন তিনি বাড়ি যান। এরপর দুপুর ৩টার দিকে দোকানে ফিরে আসেন। তারপর থেকে পরিবারের কারো সাথে তার যোগাযোগ হয়নি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার দোকান থেকে পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। গন্ধ পেয়ে পথচারীরা দোকানে উঁকি দিয়ে দেখেন মেঝেতে তার মরদেহ পড়ে আছে।

 

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। লাশ পচে ফুলে উঠেছে। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ৩-৪ দিন আগে তিনি মারা যান। তবে শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।