ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারত পর্যালোচনা করছে চীনের ৫০টি বিনিয়োগ প্রস্তাব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০ ১০৭২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক:

সম্প্রতি ঘোষিত নতুন পর্যালোচনা নীতির আওতায় চীনা কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত ৫০টি প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করছে ভারত সরকার। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। মূলত সীমান্তে সংঘাতের পর দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কে যে সংকট তৈরি হয়েছে, এটি তারই উদাহরণ। খবর: রয়টার্স।

গত এপ্রিলে ভারত কর্তৃক ঘোষিত নতুন নীতির আওতায় চীনা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত হতে হবেÑতা নতুন কোনো প্রকল্প হোক আর চলমান প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থায়ন হোক। অবশ্য বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করে চীনা বিনিয়োগকারী ও বেইজিং এর সমালোচনা করেছিল।

নতুন বিনিয়োগ বিধিগুলোর লক্ষ্য করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় সুবিধাবাদী বিষয়গুলো ঠেকানো। তবে শিল্প খাতের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জুন মাসে দেশ দুটির মধ্যে বিতর্কিত সীমান্ত সংঘর্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও অবনতি এবং অনুমোদন প্রক্রিয়াকে আরও বিলম্ব করতে পারে। ওই সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হন।

সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে বিনিয়োগের আবেদনের ওপর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে দিল্লির এক জ্যেষ্ঠ ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘এতে বিভিন্ন ছাড়পত্র প্রয়োজন। অন্যরা যেভাবে ভাবে, আমরা এখন তার থেকেও আরও কিছুটা বেশি সতর্ক হয়েছি।’

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প বিভাগ এ নীতির খসড়া তৈরি করেছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলেও তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো বলছে, বিশ্বস্ততার বিষয়টি নিয়ে তৈরি উদ্বেগের কারণে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।

সূত্র তিনটি জানিয়েছে, গত এপ্রিলে নতুন নীতি প্রণীত হওয়ার পর থেকে বিনিয়োগ প্রশ্নে ৪০ থেকে ৫০টি চীনা কোম্পানির আবেদন জমা পড়েছে। তবে সেগুলো এখনও অনুমোদন পায়নি। পর্যালোচনাধীন পর্যায়েই তা আটকে আছে। চীনে ভারতীয় কনস্যুলেটে গিয়ে এর কারণ জানতে চাইছে কোম্পানিগুলো।

ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ও জনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে অভিহিত করে এর আগে টিকটকসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। জুনের ১৫ তারিখের ওই সংঘর্ষের পর ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বর্জনের যে ডাক ওঠে, মোদি সরকার তার পরিপ্রেক্ষিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ভারত পর্যালোচনা করছে চীনের ৫০টি বিনিয়োগ প্রস্তাব

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০

ডেস্ক:

সম্প্রতি ঘোষিত নতুন পর্যালোচনা নীতির আওতায় চীনা কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত ৫০টি প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করছে ভারত সরকার। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। মূলত সীমান্তে সংঘাতের পর দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কে যে সংকট তৈরি হয়েছে, এটি তারই উদাহরণ। খবর: রয়টার্স।

গত এপ্রিলে ভারত কর্তৃক ঘোষিত নতুন নীতির আওতায় চীনা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত হতে হবেÑতা নতুন কোনো প্রকল্প হোক আর চলমান প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থায়ন হোক। অবশ্য বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করে চীনা বিনিয়োগকারী ও বেইজিং এর সমালোচনা করেছিল।

নতুন বিনিয়োগ বিধিগুলোর লক্ষ্য করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় সুবিধাবাদী বিষয়গুলো ঠেকানো। তবে শিল্প খাতের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জুন মাসে দেশ দুটির মধ্যে বিতর্কিত সীমান্ত সংঘর্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও অবনতি এবং অনুমোদন প্রক্রিয়াকে আরও বিলম্ব করতে পারে। ওই সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হন।

সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে বিনিয়োগের আবেদনের ওপর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে দিল্লির এক জ্যেষ্ঠ ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘এতে বিভিন্ন ছাড়পত্র প্রয়োজন। অন্যরা যেভাবে ভাবে, আমরা এখন তার থেকেও আরও কিছুটা বেশি সতর্ক হয়েছি।’

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প বিভাগ এ নীতির খসড়া তৈরি করেছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলেও তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো বলছে, বিশ্বস্ততার বিষয়টি নিয়ে তৈরি উদ্বেগের কারণে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।

সূত্র তিনটি জানিয়েছে, গত এপ্রিলে নতুন নীতি প্রণীত হওয়ার পর থেকে বিনিয়োগ প্রশ্নে ৪০ থেকে ৫০টি চীনা কোম্পানির আবেদন জমা পড়েছে। তবে সেগুলো এখনও অনুমোদন পায়নি। পর্যালোচনাধীন পর্যায়েই তা আটকে আছে। চীনে ভারতীয় কনস্যুলেটে গিয়ে এর কারণ জানতে চাইছে কোম্পানিগুলো।

ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ও জনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে অভিহিত করে এর আগে টিকটকসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। জুনের ১৫ তারিখের ওই সংঘর্ষের পর ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বর্জনের যে ডাক ওঠে, মোদি সরকার তার পরিপ্রেক্ষিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়।