শুভাগমন “ঈদে আজম” উদযাপন উপলক্ষে, ফেনী ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে মহাসমাবেশ
- আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১ ২২৭২১ বার পড়া হয়েছে
ফেনী প্রতিনিধি:
দয়াময় আল্লাহতাআলার পরম রহমত হিসেবে সমগ্র মানবমন্ডলীর দোজাহানের সর্বকল্যাণ ও মুক্তি সাধনায় দুনিয়ায় প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমন “ঈদে আজম” উদ্যাপন উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে এক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (২০শে অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকা এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মহাসমাবেশে প্রধান মেহেমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তফসিরুল কোরআন মাশাহেদুল ঈমানের প্রণেতা ও পবিত্র বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তাফহিমুল বোখারী শরীফের প্রণেতা, ওস্তাজুল ওলামা, শায়খুল হাদিস, ইমামে আহলে সুন্নাত, পীরে হাক্কানী, ওলীয়ে রাব্বানী- হাফেজ আল্লামা সৈয়দ সাইফুর রহমান নিজামী শাহ্ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা “আল্লামা ইমাম হায়াত”।
এতে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা গোলাম সরওয়ার, এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ আল্লামা অধ্যাপক নুরুন্নবী, ডঃ আল্লাম অধ্যাপক এহসানুল হাদি, প্রফেসর ইউনুস হাসান চৌধুরী, বারাগুনী দরবারের শাহেবজাদা মাসুদুল হক চিশতি। এছাড়াও শতাধিক সম্মানিত পীর মাশায়েখ ওলামায়ে কেরাম, চিন্তাবিদ, গবেষক, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন ও ব্যাপক সংখ্যক ধর্মপ্রাণ জনসাধারণ এতে অংশগ্রহন করেন।
মাননীয় প্রধান মেহমান তাঁর বাণীতে মহান প্রিয়নবীকে ঈমানসম্মতভাবে চিনতে পারা আল্লাহতাআলাকে চিনতে পারা ও নিজেকে চিনতে পারার পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। মহান প্রিয়নবী কেন্দ্রিক হয়ে যাওয়াকে মানবজীবনে সত্যভিত্তিক অস্তিত্ব তথা আল্লাহতাআলার সম্পর্কের একমাত্র মূল বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেসালাত ভিত্তিক জীবনই তাওহীদ ভিত্তিক জীবন, রেসালাত থেকে বিচ্ছিন্ন জীবন তাওহীদ থেকেই বিচ্ছিন্ন, রেসালাত ব্যতীত তাওহীদের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, প্রিয়নবীকে ঈমানের মূল ও জীবনের সর্বোচ্চ আপন এবং আল্লাহতাআলার সকল রহমত-নেয়ামত-হিদায়াত-মাগফেরাত-কবুলিয়ত- নাজাতের মূল কেন্দ্র হিসেবে না চিনলে জীবন মিথ্যা-মূর্খতা-আঁধার-বিণাশের ধারায় দোজাহানে দূর্ভাগ্যের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে যাবে। প্রিয়নবীর প্রেমই আল্লাহতাআলার প্রেম স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, যাঁরা প্রিয়নবীর প্রেমে উৎসর্গীকৃত কেবলমাত্র তাঁরাই আল্লাহতাআলার আপন ও মকবুল। তিনি বলেন, প্রিয়নবীর প্রেমই আত্মার আলো ও ঈমানের প্রাণশক্তি যা ব্যতীত আত্মা আঁধার ও মৃত এবং মিথ্যার হাতিয়ার ।
মাননীয় প্রধান বক্তা ইমাম হায়াত বলেন, দয়াময় আল্লাহতাআলার সর্বোচ্চ রহমত রূপে সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সত্যের আলো ও মুক্তির উৎস এবং সকল গুন-জ্ঞান সকল কল্যাণের মূল হিসেবে দুনিয়ায় প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমন দয়াময় আল্লাহতাআলাকে পাওয়ার পরম শোকরিয়া সর্বোচ্চ ঈদ “ঈদে আজম”। তিনি বলেন, দয়াময় ¯্রষ্টার মহান রাসুল ই সর্বসৃষ্টির জন্য ¯্রষ্টার আলো ও বন্ধন এবং সর্বোচ্চ অনুগ্রহ ¯্রষ্টার পক্ষ থেকে মহান রাসুল ই সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সকল জ্ঞান-বিজ্ঞান, সকল গুন, সকল কল্যাণের উৎস।
মহান রাসুল ই জীবনের জ্ঞান ও মানবতার প্রাণ উল্লেখ করে ইমাম হায়াত বলেন, সত্য ও মানবতার মহান রাসুলের দিশা ব্যতীত ¯্রষ্টার বন্ধন যেমন হয় না; তেমনি মহান রাসুলের দিশা ব্যতীত মানবিক অস্তিত্ব, মানবজীবন, জীবনের রাষ্ট্র ও জীবনের দুনিয়াও হয় না। তিনি বলেন, মহান রাসুলের দিশা ব্যতীত জীবন ও জগত মিথ্যা-অবিচার-শোষন-সন্ত্রাস-পাশবতা-দস্যুতা-স্বৈরতার শিকারে রুদ্ধ ও ধ্বংস হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, সকল মানুষকে নিজের জীবনের সুরক্ষা-স্বাধীনতা-মর্যাদা ও কল্যাণের স্বার্থে অবশ্যই প্রিয় রাসুল কেন্দ্রীক হতে হবে। প্রিয় রাসুলের দেয়া মানবতার রাষ্ট্র ও মুক্ত জীবনের অখন্ড দুনিয়া খেলাফতে ইনসানিয়াত ছাড়া বিধ্বংস ও মৃত মানবতাকে বাঁচানোর কোন উপায় নেই। তিনি প্রাণাধিক প্রিয়নবী প্রদত্ত ঈমানী জীবন এবং মানবতার রাষ্ট্র ও মানবতার দুনিয়া খেলাফতে ইনসানিয়াত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সত্য ও মানবতার উৎস ঈদে আজম উদযাপন করার আহবান জানান।