ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলা হতে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের পরিবহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। ময়মনসিংহ মোটর মালিক সমিতি ও চেম্বার অব কমার্স নেতৃবৃন্দের যৌথ আহ্বানে পালিত ধর্মঘটের কারণে আজ রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকামুখী কোনও যানবাহন ছেড়ে যায়নি। অনেক যাত্রী ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
যাত্রীরা বলছেন, তারা অনেকেই জানতেন না, সকাল থেকে বাস ধর্মঘট থাকবে। রবিবার সরকারি প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় অনেকেই ময়মনসিংহ থেকে বাসযোগে ঢাকার বিভিন্ন কর্মস্থলে গিয়ে থাকেন। এ অবস্থায় যাত্রীরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে।
ঢাকার কর্মস্থলে যাওয়া এনা পরিবহনের যাত্রী কামরুল হাসান জানান, রবিবার সকাল থেকে বাস ধর্মঘট থাকবে এটা জানতাম না। তিন দিনের ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় রবিবার কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। বাস টার্মিনালে এসে জানতে পারি পরিবহন ধর্মঘটের কথা। এখন কীভাবে ঢাকা যাব?
তবে অনেকে আবার বিকল্প পথে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ জন্য তাদের গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত টাকা।
এনা পরিবহনের চালক শামসুল আলম জানান, ঢাকামুখী গাজীপুরের সালনা হতে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার খানাখন্দ এবং বেহালদশার কারণে বাস চালাতে খুবই সমস্যা হয়। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আড়াই ঘণ্টায় যাওয়ার কথা থাকলেও খারাপ সড়কের কারণে থেমে থেমে যেতে হয় এবং ৬-৭ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ মোটর মালিক সমিতির বাস শাখার সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও ময়মনসিংহ-ঢাকা ফোর লেনের গাজীপুর সালনা হতে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশার কোনও সংস্কার কাজ করা হচ্ছে না। খানাখন্দ এবং সড়কের বেহাল দশার কারণে যান চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে বাস চালাতে গিয়ে ক্ষতিতে পড়ছেন মালিকরা। এছাড়া মালামাল পরিবহনেও অন্যান্য যানবাহনে ক্ষতির মুখে পড়েছে। দাবি আদায়ে ময়মনসিংহ মোটর মালিক সমিতির ও চেম্বার অব কমার্স নেতৃবৃন্দ যৌথভাবে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি।