সংবাদ শিরোনাম ::

পাখি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, ৩দিন পর পুকুরে মিলল মাদরাসা ছাত্রের লাশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে নিখোঁজের ৩দিন পর এক মাদরাসা ছাত্রের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. রনি (১৭) নামে আরেক মাদরাসা ছাত্রকে আটক করেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ ওই ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: সুবর্ণচর দলিল লেখক সমিতির শোকসভা, দোয়া ও চেক হস্তান্তর

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বারাগাঁও ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর গ্রামের রুহুল আমিন ড্রাইবারের পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরো পড়ুন: বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার-২

নিহত সাহাদাত হোসেন সজিব (১৪) একই ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের লস্কর বাড়ির মৃত শওকত আলীর ছেলে। সে স্থানীয় কাশিপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। অপরদিকে, আটক রনি একই মাদরাসা এবং একই বাড়ির মো. রুবেলের ছেলে।

আরো পড়ুন: ধীর গতিতে নামছে নোয়াখালীর পানি

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার থেকে সজিব নিখোঁজ ছিল। তার বাড়ির সামনে একটি রিকশা গ্যারেজ আছে। ওই গ্যারেজের একটি সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় সজিব নিজ বাড়ির সামনে থেকে নৌকায় করে তাদের বাড়ির রনিসহ রুহুল আমিন ড্রাইবারের বাড়ির পাশে বাগানে বক পাখি ধরতে যায়। তাদের যাওয়ার পৌনে ৩ঘন্টা পর একই ফুটেজে দেখা যায় একটি মাত্র ছেলে ফিরে এসেছে। সজিব ফিরে আসেনি। খবর পেয়ে মঙ্গলবার পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। কিন্ত সেখানে সজিবের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। বুধবার ভোর রাতের দিকে স্থানীয়রা রুহুল আমিন ড্রাইবারের পুকুরে সজিবের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্র রনিকে আটক করে।

আরো পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে ভূমিহীনদের চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, একই বাড়ির দুই বন্ধু এক সাথে বাড়ির পাশের একটি বাগানে বক ধরতে যায়। এরপর রনি গাছে উঠে। তখন সজিব গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছিল। একপর্যায়ে রনি গাছ থেকে নেমে বাড়ি চলে আসে। সজিবকে খোঁজাখুজি করে না পেলেও রনি তার সাথে সজিবের পাখি ধরতে যাওয়ার বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি।

আরো পড়ুন: আগাম বন্যায় দিশেহারা নোয়াখালীর মানুষ, বাড়ছে মহুরী নদীর পানি

ওসি আরও বলেন, নিহত সজিবের মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। মনে হচ্ছে মাথায় বাড়ি দেওয়া হয়েছে। ১জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

পাখি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, ৩দিন পর পুকুরে মিলল মাদরাসা ছাত্রের লাশ

আপডেট সময় : ১০:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে নিখোঁজের ৩দিন পর এক মাদরাসা ছাত্রের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. রনি (১৭) নামে আরেক মাদরাসা ছাত্রকে আটক করেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ ওই ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: সুবর্ণচর দলিল লেখক সমিতির শোকসভা, দোয়া ও চেক হস্তান্তর

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বারাগাঁও ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর গ্রামের রুহুল আমিন ড্রাইবারের পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরো পড়ুন: বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার-২

নিহত সাহাদাত হোসেন সজিব (১৪) একই ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের লস্কর বাড়ির মৃত শওকত আলীর ছেলে। সে স্থানীয় কাশিপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। অপরদিকে, আটক রনি একই মাদরাসা এবং একই বাড়ির মো. রুবেলের ছেলে।

আরো পড়ুন: ধীর গতিতে নামছে নোয়াখালীর পানি

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার থেকে সজিব নিখোঁজ ছিল। তার বাড়ির সামনে একটি রিকশা গ্যারেজ আছে। ওই গ্যারেজের একটি সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় সজিব নিজ বাড়ির সামনে থেকে নৌকায় করে তাদের বাড়ির রনিসহ রুহুল আমিন ড্রাইবারের বাড়ির পাশে বাগানে বক পাখি ধরতে যায়। তাদের যাওয়ার পৌনে ৩ঘন্টা পর একই ফুটেজে দেখা যায় একটি মাত্র ছেলে ফিরে এসেছে। সজিব ফিরে আসেনি। খবর পেয়ে মঙ্গলবার পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। কিন্ত সেখানে সজিবের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। বুধবার ভোর রাতের দিকে স্থানীয়রা রুহুল আমিন ড্রাইবারের পুকুরে সজিবের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্র রনিকে আটক করে।

আরো পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে ভূমিহীনদের চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, একই বাড়ির দুই বন্ধু এক সাথে বাড়ির পাশের একটি বাগানে বক ধরতে যায়। এরপর রনি গাছে উঠে। তখন সজিব গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছিল। একপর্যায়ে রনি গাছ থেকে নেমে বাড়ি চলে আসে। সজিবকে খোঁজাখুজি করে না পেলেও রনি তার সাথে সজিবের পাখি ধরতে যাওয়ার বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি।

আরো পড়ুন: আগাম বন্যায় দিশেহারা নোয়াখালীর মানুষ, বাড়ছে মহুরী নদীর পানি

ওসি আরও বলেন, নিহত সজিবের মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। মনে হচ্ছে মাথায় বাড়ি দেওয়া হয়েছে। ১জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।