সংবাদ শিরোনাম ::
পাখি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, ৩দিন পর পুকুরে মিলল মাদরাসা ছাত্রের লাশ সুবর্ণচর দলিল লেখক সমিতির শোকসভা, দোয়া ও চেক হস্তান্তর বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার-২ ধীর গতিতে নামছে নোয়াখালীর পানি চাঁদা না পেয়ে ভূমিহীনদের চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন আগাম বন্যায় দিশেহারা নোয়াখালীর মানুষ, বাড়ছে মহুরী নদীর পানি দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আ.লীগ নেতার মা, চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু সালিশ বানিজ্য বা সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির কোন সুযোগ নেই, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নোয়াখালী বিএনপি Widow gang-raped in the dead of night, 1 arrested গভীরে রাতে পুকুর পাড়ে নিয়ে বিধবাকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ১

বাতাসেই ৩ ঘণ্টা টেকে করোনাভাইরাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০ ২২৭৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্ট::

বিজ্ঞানীদের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে যেখানে মানুষের ভিড় বেশি, ঘর বন্ধ কিংবা যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই- সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি বাতাসে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে তার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা।

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াবাহিত যেসব কণা বাতাসে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত ভেসে থাকতে পারে, এসব কণা নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করায় সংক্রমণ হয়ে থাকে। অতি ক্ষুদ্র এসব ড্রপলেট বড় পরিসরের জায়গা জুড়ে ছড়িয়েও থাকতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিমভাবে বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া করোনাভাইরাস তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে এই পরীক্ষাটি ল্যাবরেটরিতে করা হয়েছে, আর বাস্তব জীবনে পরিস্থিতি ল্যাবরেটরির চেয়ে ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই বাস্তব জীবনে ভাইরাস বেঁচে থাকার সময়ে তারতম্য হতে পারে।

বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোকে ‘সুপারস্প্রেডিং’ হিসেবে বলা হচ্ছে।

একটি রোগ যেভাবে সংক্রমিত হয়, তার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয় সেটির সংক্রমণ কীভাবে থামানো যাবে। কোভিড-১৯ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান গাইডলাইনে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ছাড়াও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তবে বিজ্ঞানীদের অনেকে এখন বলছেন যে, এই কাজগুলো জরুরি হলেও বাতাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিতে শুধু এই পদক্ষেপগুলোই যথেষ্ট নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের সবশেষ গাইডলাইনে এখনও পরিবর্তন না আনলেও নতুন পাওয়া তথ্য-উপাত্তগুলো যাচাই করে দেখছে তারা। নুতন পাওয়া প্রমাণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলে গাইডলাইনে পরিবর্তন আসতে পারে। যেখানে মাস্কের আরও ব্যাপক ব্যবহার, দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে আরও কঠোরতা অবলম্বনের বিষয়গুলো বিশেষ করে জনসমাগম এবং গণপরিবহনে আরও জোর দেয়া হতে পারে।

সম্প্রতি ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে একটি উন্মুক্ত চিঠি লিখেছেন, যেখানে বায়ুবাহিত সংক্রমণের বিষয়টিকে মাথায় রেখে করোনাভাইরাস গাইডলাইন আপডেট করার আহ্বান জানান তারা। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করা রসায়নবিদ এবং কোলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোসে জিমেনেজ বলেন, “আমরা চেয়েছি যেন তারা প্রমাণগুলোকে স্বীকৃতি দেয়।”

সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

বাতাসেই ৩ ঘণ্টা টেকে করোনাভাইরাস

আপডেট সময় : ১০:১০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট::

বিজ্ঞানীদের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে যেখানে মানুষের ভিড় বেশি, ঘর বন্ধ কিংবা যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই- সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি বাতাসে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে তার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা।

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াবাহিত যেসব কণা বাতাসে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত ভেসে থাকতে পারে, এসব কণা নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করায় সংক্রমণ হয়ে থাকে। অতি ক্ষুদ্র এসব ড্রপলেট বড় পরিসরের জায়গা জুড়ে ছড়িয়েও থাকতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিমভাবে বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া করোনাভাইরাস তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে এই পরীক্ষাটি ল্যাবরেটরিতে করা হয়েছে, আর বাস্তব জীবনে পরিস্থিতি ল্যাবরেটরির চেয়ে ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই বাস্তব জীবনে ভাইরাস বেঁচে থাকার সময়ে তারতম্য হতে পারে।

বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোকে ‘সুপারস্প্রেডিং’ হিসেবে বলা হচ্ছে।

একটি রোগ যেভাবে সংক্রমিত হয়, তার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয় সেটির সংক্রমণ কীভাবে থামানো যাবে। কোভিড-১৯ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান গাইডলাইনে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ছাড়াও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তবে বিজ্ঞানীদের অনেকে এখন বলছেন যে, এই কাজগুলো জরুরি হলেও বাতাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিতে শুধু এই পদক্ষেপগুলোই যথেষ্ট নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের সবশেষ গাইডলাইনে এখনও পরিবর্তন না আনলেও নতুন পাওয়া তথ্য-উপাত্তগুলো যাচাই করে দেখছে তারা। নুতন পাওয়া প্রমাণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলে গাইডলাইনে পরিবর্তন আসতে পারে। যেখানে মাস্কের আরও ব্যাপক ব্যবহার, দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে আরও কঠোরতা অবলম্বনের বিষয়গুলো বিশেষ করে জনসমাগম এবং গণপরিবহনে আরও জোর দেয়া হতে পারে।

সম্প্রতি ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে একটি উন্মুক্ত চিঠি লিখেছেন, যেখানে বায়ুবাহিত সংক্রমণের বিষয়টিকে মাথায় রেখে করোনাভাইরাস গাইডলাইন আপডেট করার আহ্বান জানান তারা। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করা রসায়নবিদ এবং কোলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোসে জিমেনেজ বলেন, “আমরা চেয়েছি যেন তারা প্রমাণগুলোকে স্বীকৃতি দেয়।”

সূত্র: বিবিসি