৬৬ কার্যদিবস পর সচল পুঁজিবাজার
- আপডেট সময় : ০৬:০৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০ ২৭৪ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট::
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে দীর্ঘ ৬৬ দিন বন্ধ ছিল দেশের পুঁজিবাজার। দীর্ঘ বিরতির পর গতকাল আবারও লেনদেন শুরু হয়। করোনা আতঙ্কে প্রথম দিনে বেশিরভাগ ব্রোকারেজ হাউজ ছিল বিনিয়োগকারী শূন্য। বেশিরভাগই হয়েছে ফোনো লেনদেন। লেনদেনের প্রথম দিনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত।
সংশ্লিষ্টদের মতে ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারদর বাড়ার যৌক্তিক কারণ ছিল। তাদের যুক্তি লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন তালিকাভুক্ত শীর্ষভাগ কোম্পানির সিংহভাগের উৎপাদনসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল ওষুধ খাত। সচল ছিল এ খাতের কোম্পানিগুলো। এ সময়ে তাদের বিক্রিও কমেনি। যে কারণে করোনার নৈতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা নেই খাতটিতে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এ খাতের শেয়ারে ঝুঁকেছেন। কারণ বিনিয়োগকারীদের ধারণা তারা এ খাতের শেয়ার থেকে বেশি রিটার্ন পাবেন। যার জের ধরেই বেড়েছে এ খাতের শেয়ারদর।
গতকালের লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, তালিকাভুক্ত এ খাতের ৩২ কোম্পানির মধ্যে ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। অন্য প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে প্রথম কার্যদিবসে ব্যাংক খাতে আগ্রহ ছিল না সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। যে কারণে অধিকাংশ ব্যাংক শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে। প্রথম দিনের লেনদেন চিত্রে দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে শেয়ারদর কমেছে ২৫টির। বিপরীতে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে লেনদেনের প্রথম দিনে উভয় পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। তবে সূচক বাড়লেও লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। আর টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের কার্যদিবস অর্থাৎ ২৫ মার্চের চেয়ে কমেছে।
গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৬০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ৩১ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৫২ পয়েন্টে, ১৩৬৫ পয়েন্টে এবং ৮০৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে ১৪৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন থেকে ২০৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা কম। আগের দিন (২৫ মার্চ) লেনদেন হয়েছিল ৩৪৮ কোটি ১৩ লাখ টাকার।
অন্যদিকে আজ ৩৩২টি প্রষ্ঠিানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৬০টির বা ১৮ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ৬৮টির বা ২২ শতাংশের এবং ১৯৫টির বা ৬০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে বিরতির পর প্রথম কার্যদিবসেই বিনিয়োগেকারীদের মধ্যে নগদ অর্থ উত্তোলনের প্রবণতা দেখা গেছে। যারা এতদিন বিও অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করতে চেয়েছিলেন তারা সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। পুঁজিবাজার আবারও বন্ধ হয়ে যাবে কি না তাদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা কাজ করছে। মূলত সেই কারণেই তারা টাকা তুলে নিতে চাইছেন।