সংবাদ শিরোনাম ::
পাখি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, ৩দিন পর পুকুরে মিলল মাদরাসা ছাত্রের লাশ সুবর্ণচর দলিল লেখক সমিতির শোকসভা, দোয়া ও চেক হস্তান্তর বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার-২ ধীর গতিতে নামছে নোয়াখালীর পানি চাঁদা না পেয়ে ভূমিহীনদের চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন আগাম বন্যায় দিশেহারা নোয়াখালীর মানুষ, বাড়ছে মহুরী নদীর পানি দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আ.লীগ নেতার মা, চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু সালিশ বানিজ্য বা সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির কোন সুযোগ নেই, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নোয়াখালী বিএনপি Widow gang-raped in the dead of night, 1 arrested গভীরে রাতে পুকুর পাড়ে নিয়ে বিধবাকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ১

অন্তঃসত্ত্বায় করোনা আক্রান্ত জুভেন্টাস তারকার বান্ধুবী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০২০ ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক::

শুরুর দিকে ইতালি করোনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চায়নি। এর ফল হয়েছে ভয়াবহ। মার্চ মাসে জুভেন্টাসে মধ্যে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারকা ডিফেন্ডার দানিয়েলে রুগানি। তখন রুগানির বান্ধুবী পেরসিকো ছিল অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। রুগানির করোনা ধরা পরায় তার শরীর থেকে ভাইরাস চলে যায় বান্ধবী মিশেলা পেরসিকোর দেহে। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে পেরসিকো বলেন, ‘আমি একে তো গর্ভবতী ছিলাম, তার ওপর করোনা এসে ভয় আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমি এখন ঠিক আছি, সৌভাগ্যবশত আমার শুধু মৃদু কিছু লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। ঘ্রাণ ও স্বাদ হারিয়ে ফেলেছিলাম, জ্বর ছিল, ক্লান্তি ছিল। অন্য অনেকের তুলনায় দানিয়েলে আর আমি অনেক সৌভাগ্যবান।’

দানিয়ের করোনা পজিটিভ আসতেই তার বান্ধুবী বুঝে গিয়েছিলেন, তারও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু তখন নিজের কথা না ভেবে পেরসিকো ভেবেছিলেন তাদের অনাগত সন্তানের কথা। রুগানির বান্ধুবী জানান, যেদিন শুনলাম দানিয়েলের টেস্টে পজিটিভ এসেছে, আমি ধরেই নিয়েছি আমারও তাই আসবে। এটাতে আমার সন্তানের ওপর কী প্রভাব পড়বে, সেটা ভেবে সে সময় মনে হচ্ছিল আমার মস্তিষ্কে শর্ট সার্কিট হচ্ছে। ভাইরাসটা নতুন, গর্ভাবস্থায় এতে আক্রান্ত হলে কী প্রভাব পড়ে তা তো জানি না। সে কারণে প্রথম কয়েকদিন অনেক ভয়ের ছিল। পরামর্শের জন্য অসংখ্য মানুষকে ফোন করেছি!

তিনি আরো বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ভয়টা ছিল এই যে, আমার গর্ভে সন্তান আছে। দানিয়েলেও অসুস্থ ছিল, আইসোলেশনে ছিল। যে কারণে আমি একা ছিলাম। তারওপর পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তা তো ছিলই। বেরগামো থেকে আমার বাবা-মা বলতেন তারা সব সময় রাস্তায় শুধু অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনই শুনতে পান, আর কিছু না। অথচ তখন মাত্র মার্চের শুরু।’

ভয়টা কেটেছে ডাক্তারদের কাছ থেকে এই নিশ্চয়তা পাওয়ার পর যে, গর্ভের সন্তানকে নিয়ে ভয় নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রুগানি আর তার জন্য সমবেদনা-প্রার্থনা জানিয়েছেন অনেকে। পেরসিকোর তা মন ছুঁয়ে গেছে, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে সমর্থন পেয়েছি, তাতে মুগ্ধ আমি। সমর্থনটা শুধু জুভেন্টাস সমর্থকরাই করেননি। রুগানিও ভালোবাসাটা টের পাচ্ছিল। যে ভালোবাসাটা একটা ফুটবল দল ছাপিয়েও অনেক বড় কিছু।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

অন্তঃসত্ত্বায় করোনা আক্রান্ত জুভেন্টাস তারকার বান্ধুবী

আপডেট সময় : ০২:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক::

শুরুর দিকে ইতালি করোনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চায়নি। এর ফল হয়েছে ভয়াবহ। মার্চ মাসে জুভেন্টাসে মধ্যে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারকা ডিফেন্ডার দানিয়েলে রুগানি। তখন রুগানির বান্ধুবী পেরসিকো ছিল অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। রুগানির করোনা ধরা পরায় তার শরীর থেকে ভাইরাস চলে যায় বান্ধবী মিশেলা পেরসিকোর দেহে। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে পেরসিকো বলেন, ‘আমি একে তো গর্ভবতী ছিলাম, তার ওপর করোনা এসে ভয় আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমি এখন ঠিক আছি, সৌভাগ্যবশত আমার শুধু মৃদু কিছু লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। ঘ্রাণ ও স্বাদ হারিয়ে ফেলেছিলাম, জ্বর ছিল, ক্লান্তি ছিল। অন্য অনেকের তুলনায় দানিয়েলে আর আমি অনেক সৌভাগ্যবান।’

দানিয়ের করোনা পজিটিভ আসতেই তার বান্ধুবী বুঝে গিয়েছিলেন, তারও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু তখন নিজের কথা না ভেবে পেরসিকো ভেবেছিলেন তাদের অনাগত সন্তানের কথা। রুগানির বান্ধুবী জানান, যেদিন শুনলাম দানিয়েলের টেস্টে পজিটিভ এসেছে, আমি ধরেই নিয়েছি আমারও তাই আসবে। এটাতে আমার সন্তানের ওপর কী প্রভাব পড়বে, সেটা ভেবে সে সময় মনে হচ্ছিল আমার মস্তিষ্কে শর্ট সার্কিট হচ্ছে। ভাইরাসটা নতুন, গর্ভাবস্থায় এতে আক্রান্ত হলে কী প্রভাব পড়ে তা তো জানি না। সে কারণে প্রথম কয়েকদিন অনেক ভয়ের ছিল। পরামর্শের জন্য অসংখ্য মানুষকে ফোন করেছি!

তিনি আরো বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ভয়টা ছিল এই যে, আমার গর্ভে সন্তান আছে। দানিয়েলেও অসুস্থ ছিল, আইসোলেশনে ছিল। যে কারণে আমি একা ছিলাম। তারওপর পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তা তো ছিলই। বেরগামো থেকে আমার বাবা-মা বলতেন তারা সব সময় রাস্তায় শুধু অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনই শুনতে পান, আর কিছু না। অথচ তখন মাত্র মার্চের শুরু।’

ভয়টা কেটেছে ডাক্তারদের কাছ থেকে এই নিশ্চয়তা পাওয়ার পর যে, গর্ভের সন্তানকে নিয়ে ভয় নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রুগানি আর তার জন্য সমবেদনা-প্রার্থনা জানিয়েছেন অনেকে। পেরসিকোর তা মন ছুঁয়ে গেছে, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে সমর্থন পেয়েছি, তাতে মুগ্ধ আমি। সমর্থনটা শুধু জুভেন্টাস সমর্থকরাই করেননি। রুগানিও ভালোবাসাটা টের পাচ্ছিল। যে ভালোবাসাটা একটা ফুটবল দল ছাপিয়েও অনেক বড় কিছু।’